চট্টগ্রামে রাতের আঁধারে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করল মেম্বার

সীতাকুণ্ডে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে মো. রবিন নামের এক ইউপি সদস্যের (মেম্বার) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূ ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে।

এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর ফজরের নামাজ চলাকালে মসজিদে ঢুকে মুসল্লির ওপর হামলার অভিযোগ উঠে ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: কিশোরী ধর্ষণ করে ধর্ষক লুকিয়ে ছিল ছদ্মনামে, ধরা খেল পুলিশের জালে

থানা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকা দিয়ে গৃহবধূ ও তার স্বামী একটি কারখানায় চাকরির উদ্দেশ্যে রওনা হন। এসময় সেখানে উপস্থিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রবিন ও তার ৪-৫ জন সঙ্গী মিলে জোর করে গৃহবধূ ও তার স্বামীকে ধরে একটি ঘরে নিয়ে যায়। পরে স্বামী বেঁধে মারধর করে টাকা, মোবাইল, অলঙ্কার ছিনিয়ে নেয় এবং ভয় দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন।

ধর্ষণের পর গৃহবধূকে তার মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দিলে তিনি কৌশলে ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে ঘটনা জানায়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ইউপি সদস্য রবিন সঙ্গীসহ পালিয়ে যায়। পরে গৃহবধূ ও তার স্বামীকে উদ্ধার করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য রবিনের মুঠোফোনে একাধিক যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

যোগাযোগ করা হলে সোনাইছড়ির ইউপি চেয়ারম্যান মো. মুনীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ইউপি সদস্য মো. রবিন আগেও নানা অপকর্ম করেছেন। এখন তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসন অবশ্যই এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করছি।

এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার এসআই মো. হারুনুর রশিদ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করেছি। ধর্ষণের প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষিতাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ তোফায়েল আহমেদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলেছে।

এসএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!