স্কুলে না গিয়েও তিনি বিগ্রেডিয়ার জেনারেল, বন্দর পুলিশের জালে চক্রের ৪

শিক্ষাজীবনে মাধ্যমিকের গণ্ডি পার করেননি। তবুও নিজেকে পরিচয় দেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল। অনায়াসে তিনি চাকরি দিতে পারেন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে। এভাবে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে শত শত মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়েছেন। তবে এবার আর শেষ রক্ষা হয়নি। চক্রের মূলহোতাসহ প্রতারক চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (২০ আগস্ট) নগরের বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন – মো. হারিফ মিয়া (২৩), মো. ইয়ার হোসেন (৪২), মো. মিলন খান (৩০) ও মো. ইউসুফ মিয়া (৪০)।

আরও পড়ুন: ইমো হ্যাক করে প্রতারণা, কাউন্টার টেরোরিজমের জালে চক্রের ৫

এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, বন্দর থানা এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালিয়ে জুয়া ও অসামাজিক কার্যকলাপ প্রায় শূন্যের কোটায় আনা হয়েছে। ক্যারাম খেলার মাধ্যমে জুয়া খেলার অভিযোগে সেটিও বন্ধ করা হয়। পরে ক্যারাম খেলা চালু করতে কিছু লোক আমার কাছে আসে এবং বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাহেব তাদের পাঠিয়েছে বলে জানায়। এসময় একটি ভিজিটিং কার্ডও আমাকে দেন ওই লোকজন। তখন বিষয়টি নিয়ে আমার সন্দেহ হয়। পরে ভিজিটিং কার্ডটি যাচাই-বাছাই করে ভুয়া প্রমাণিত হয়। বিগ্রেডিয়ার জেনারেলের যে মোবাইল নম্বরটি দেওয়া হয় সেটি গ্রেপ্তার মো. হারিফ মিয়ার নামে রেজিস্ট্রেশন রয়েছে।

ওসি আরও বলেন, এলাকার ছোটখাট বিষয় নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের কল দেওয়া হতো। গ্রেপ্তার হারিফ মিয়া এলাকায় বিগ্রেডিয়ার জেনারেলের ভাই হিসেবে পরিচিত। এ পরিচয়ে তিনি বিভিন্ন জনকে কল দিতেন। তার নেতৃত্বে চার থেকে পাঁচজনের একটি চক্র রয়েছে। তাদের সবার বাড়ি কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহে। তারা চট্টগ্রামের বন্দর এলাকায় প্রতারণার এক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন। বন্দর এলাকায় ৯৯৯-এর এক ফোনকলে সমস্যা সমাধানে গেলে পুলিশের কাজে বাঁধ সাধতেন এই হারিফ। গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।

এনইউএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!