ইমো হ্যাক করে প্রতারণা, কাউন্টার টেরোরিজমের জালে চক্রের ৫

ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে কন্ট্রাক্ট লিস্টে থাকা ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল একটি চক্র। তাদের ফাঁদে পড়েছে প্রবাসী থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ।

নগরের চকবাজার থানায় এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সাইবার ইউনিট।

শনিবার (২৯ জুলাই) নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের মিডিয়ার সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানা এলাকার বাসিন্দা মো. আরিফুল ইসলাম (৩১), একই এলাকার মো. শিমুল হোসেন (২২), নাটোর জেলার লালপুর থানা এলাকার বাসিন্দা মো. সাহাবুল ইসলাম প্রকাশ শাহাবুল (৩৯), মো. ইব্রাহিম হোসেন প্রকাশ বাপ্পী (২১) এবং মো. হৃদয় হাসান প্রকাশ শাহীন (২৩)।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সেনা কর্তা সেজে প্রতারণা, যুবক ধরা পড়ল র‍্যাবের জালে

সংবাদ সম্মলনে কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সাইবার ইউনিটের উপপুলিশ কমিশনার মো. লিয়াকত আলী খান বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে প্রতারকচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও সিম জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন, অজ্ঞাত ব্যক্তির ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে কন্ট্রাক্ট লিস্টে থাকা ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করতো তারা। এই প্রতারণার মাধ্যমে বিকাশ, নগদ অ্যাকাউন্টে দেশ-বিদেশের অনেক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নগরের এক ভুক্তভোগী কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে অজ্ঞাত চক্রটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পরে নগরের চকবাজার থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার পর তদন্তে নামে কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সাইবার ইউনিট।

কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন বলেন, পাবনার ঈশ্বরদী থেকে প্রতারকচক্রের আরিফুলকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যে একই এলাকা থেকে শিমুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর নাটোর জেলার লালপুর থানা এলাকা থেকে শাহাবুল, বাপ্পী এবং শাহীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে ঢাকা জেলার সাভার থানা এলাকাসহ নোয়াখালী জেলার সুধারাম ও বেগমগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!