সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থেকেও নেই—বেসরকারির দাপট, জরুরি সেবায় জটিল পরিস্থিতিতে দুস্থরা

রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স আছে। আছে ভারতের দেওয়া লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সও। কিন্তু তিনটি অ্যাম্বুলেন্সের বিপরীতে চালক মাত্র একজন!

এদিকে এর পূর্ণ ফায়দা লুটছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো। প্রতিনিয়ত রোগীদের পকেট কাটছে বেসরকারি এসব অ্যাম্বুলেন্স। চট্টগ্রাম শহরে আসতে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া যেখানে ৮শ টাকা, তারা আদায় করে ৩ হাজার টাকা! এ অবস্থায় জরুরি চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দুস্থ রোগীদের।

আরও পড়ুন: সরকারি জমিতে বদরখালী সমিতির প্লট বাণিজ্য—দুদিনেই হয়ে গেল ৭০ প্লট!

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভারতের দেওয়া একটি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সসহ তিনটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক সংকটের কারণে হাসপতালের রোগী পরিবহনে ব্যবহৃত হচ্ছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স। ফলে শহরে আসা-যাওয়ায় রোগী ও স্বজনদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।

আরও জানা গেছে, মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ নগরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে জরুরিভাবে নিয়ে যেতে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দুটি অ্যাম্বুলেন্স দেয়। সর্বশেষ ভারত সরকারের দেওয়া লাইফ সাপোর্ট একটি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়। তবে তিন অ্যাম্বুলেন্সের বিপরীতে চালক মাত্র একজন। ফলে রোগীদের বাধ্য হয়ে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স অতিরিক্ত ভাড়ায় রোগী নিতে হয়।

ভুক্তভোগীরা জানায়, সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চট্টগ্রাম শহরে রোগী নিয়ে গেলে খরচ গুণতে হয় ৮শ টাকা। কিন্তু বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সকে দিতে হয় ৩ হাজার টাকা। হাসপাতালের সামনে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকলেও সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের দেখা পাওয়া যায় না।

রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মুমূর্ষু রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অন্যান্য বেসকারি হাসপাতালে নিতে চাইলে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায় না। দেখানো হয় বিভিন্ন অজুহাত। তখন হাসপাতালের কতিপয় কর্মচারি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে যাওয়ার সুপারিশ করেন।

আরও পড়ুন: সরকারি স্কুলের এ কী হাল!

জানা যায়, ৫০ শয্যার রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্স বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসা নিতে আসেন । হাসপাতালের আসার পর জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের ভর্তি করা হয়। আবার অনেক রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরের হাসপাতালে পাঠানো হয়।

যোগাযোগ করা হলে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর আলম দীন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, তিনটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক রয়েছে মাত্র একজন । একজন রোগী নিয়ে চালক শহরে গেলে একইসময়ে হাসপাতালের অন্য কোনো রোগীকে জরুরিভাবে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নিতে হয়।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!