সম্পাদকের নামও জানেন না, অথচ পাহাড়ে চাঁদা নেন সাংবাদিক পরিচয়ে

চট্টগ্রামের জনপ্রিয় গণমাধ্যম আলোকিত চট্টগ্রামের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এইচএম আবু জাহাঙ্গীর প্রকাশ কালা জাহাঙ্গীর নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। তিনি লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানপাড়ার বাসিন্দা।

দীর্ঘদিন ধরে আলোকিত চট্টগ্রাম পত্রিকার নাম দিয়ে লামাসহ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এলাকায় প্রতারণা করে আসছিলেন তিনি। এইচ এম আবু জাহাঙ্গীরের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল সাধারণ মানুষ।

জানা গেছে, টার্গেট ব্যক্তি ও আশপাশের কিছু ছবি তুলে তিনি বলতেন— ‘আপনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে’। এভাবে কিছুক্ষণ হম্বিতম্বি করার পর তিনি মোটা অঙ্কের টাকা দিলে খবর প্রকাশ করবে না বলে জানাতেন। তখন ভুক্তভোগীরা বাধ্য হয়ে তাকে দাবি করা টাকা দিয়ে দিতেন। এভাবেই চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছিলেন ভুয়া সাংবাদিক এইচএম আবু জাহাঙ্গীর।

ভুক্তভোগী চুনতি রেঞ্জ অফিসের স্টাফ নৌশ প্রহরী মো. ফারুক বলেন, এইচএম জাহাঙ্গীর আলোকিত চট্টগ্রাম পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ে আমাকে ফোন করে বলেন, আপনার বিরুদ্ধে চাঁদার অভিযোগ পাওয়া গেছে, আমাকে টাকা দিলে আমি সেই অভিযোগ প্রকাশ করবো না। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে তিনি আমার বিরুদ্ধে প্রধান বন সংরক্ষক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। তখন আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অনুসন্ধান করলে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। পরে তিনি (এইচএম জাহাঙ্গীর) লিখিতভাবে জানান যে আমি নির্দোষ।

আরও পড়ুন: নতুন রূপে সাজছে কক্সবাজার—এলোমেলো রাস্তায় শৃঙ্খলা, স্থাপনায়ও

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এইচএম আবু জাহাঙ্গীর কখনোই সাংবাদিকতা পেশায় ছিলেন না। তিনি মূলত ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরি করে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তি ও ব্যবসায়ীকে টার্গেট করে ভুয়া খবর প্রকাশের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করেন।

মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় এইচএম আবু জাহাঙ্গীরকে সঙ্গে। আলোকিত চট্টগ্রামের সম্পাদক কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, জামাল উদ্দিন। যখন তাঁকে বলা হয় জামাল উদ্দিন নামে কেউ তো আলোকিত চট্টগ্রামে নেই, আমি আলোকিত চট্টগ্রাম অফিস থেকে ফোন করেছি। তখন তিনি লাইন কেটে দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেন।

ইলিয়াস সানি/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!