নতুন রূপে সাজছে কক্সবাজার—এলোমেলো রাস্তায় শৃঙ্খলা, স্থাপনায়ও

দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজার। এখানে সবরকমের সম্ভাবনা রয়েছে বিশ্বমানের পর্যটননগরী হয়ে ওঠার। তবে সাগরপাড়ের এই শহর সবসময় আলোচনায় থাকে অপরিকল্পিত স্থাপনা আর সমন্বয়হীন উন্নয়নের জন্য।

তবে সম্প্রতি বদলেছে চিত্র, সম্ভাবনার পালে লেগেছে সুবাতাস। এলোমেলো রাস্তায় আসছে শৃঙ্খলা, নগরের জলাশয় থেকে শুরু করে পুরোনো স্থাপনাগুলোও সাজছে নতুন রূপে।

নগর পরিকল্পনাবিদ খন্দকার নিয়াজ রহমান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, কক্সবাজারের সি-বিচ ছাড়াও আরও অনেক অ্যাসেট আছে যেগুলো দেশের মানুষই জানেন না। তাই আমরা এবার কক্সবাজারের যে ফিজিক্যাল সার্ভে হবে (আগে হতো স্যাটেলাইট ইমেজ থেকে) তার থেকে এখন অনেক বেশি ডিটেইলে করা হবে ড্রোন দিয়ে।

নগর পরিকল্পনাবিদ এহসান খান বলেন, আমরা যে রিজিওন দেখছি আমাদের এশিয়ান বেল ধরে কক্সবাজার একটা বড় ভেন্যু হবে। এখানে আন্তর্জাতিক মানের হাব হবে। পরিবর্তনের শুরু কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের হাত ধরে ২০১৬ সালে। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি পেয়েছে নতুন ভবন। গতি এসেছে কাজে।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী

যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ বলেন, সবার সমন্বয়ে কক্সবাজার জেলার ৬৯০.৬৭ বর্গকিলোমিটার এলাকার একটা মহাপরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি। এখনো মূল চ্যালেঞ্জ- অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা হোটেল-মোটেলগুলোকে শৃঙ্খলায় আনা।

নগর পরিকল্পনাবিদ খন্দকার নিয়াজ রহমান বলেন, আমার ধারণা কালচারাল ট্যুরিজম আর ন্যাশনাল ট্যুরিজম এ দুটি যদি আমরা দিতে পারি তাহলে এখন ট্যুরিজমের নামে যেসব হোটেল-মোটেল বানাতে গিয়ে ধ্বংস করে ফেলছি সেটা বন্ধ করা যাবে।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ বলেন, যত্রতত্র অগোছালো-গিঞ্জি কোনো ধরনের স্থাপনা গড়ে উঠবে না। আর এমন কিছু হবে না যেগুলো পর্যটকদের কাজে লাগবে না। জেলার পর্যটনের ক্ষেত্র প্রসারিত করতে তৈরি হচ্ছে মহাপরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনা আর বাস্তবায়নের মেলবন্ধনে কক্সবাজার হয়ে উঠবে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আদর্শ গন্তব্য।

বলরাম/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!