সন্ধ্যা নামলেই মাদকের গন্ধ উড়ে বাতাসে—আউটার স্টেডিয়ামে

বিকেল গড়িয়ে তখন সন্ধ্যা, কোলাহলপূর্ণ চট্টগ্রাম নগরের কাজির দেউরির আউটার স্টেডিয়াম ততক্ষণে অনেকটাই সুনশান। একটু পর মাঠের চারপাশ ঘিরে গুচ্ছাকারে জড়ো হতে থাকে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। দূর থেকে দেখে মনে হতেই পারে ঘটা করে আড্ডা চলছে।কিন্তু কাছে যেতেই চমকে ওঠার মতো দৃশ্য।

আউটার স্টেডিয়ামের চারপাশ ঘিরে চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা। সন্ধ্যা নামলেই মাঠের চারপাশ ঘিরে শুরু হয় মাদক কেনাবেচার কাজ, রাতভর চলে এই কর্মযজ্ঞ।

স্থানীয় বখাটে যুবক থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীসহ নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ মেতে ওঠে মাদকের নীল নেশায়৷ আউটার স্টেডিয়ামের এই মাঠটি যেন এখন রীতিমতো মাদক বিক্রির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এমন মাদক বাণিজ্য। শুধু মাদক কেনাবেচা নয়, পাশাপাশি সন্ধ্যার পর থেকে রাতভর চলে জুয়ার আসর। ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক সেবন চলে হরহামেশাই। মাঠের পাশেই পুলিশ বক্সসহ প্রশাসনের অবস্থান দেখা গেলেও মাদকবাণিজ্য বন্ধে নেই তেমন কোনো তৎপরতা৷ প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে জমজমাট এই মাদক বাণিজ্য।

আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু—প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাতে কোতোয়ালী ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা

সন্ধ্যার পর সরেজমিন দেখা গেছে, মাদক সেবন ও কেনাবেচার দৃশ্য৷ মাঠের দুপাশে কেউ মাদক নিচ্ছে, আবার একসঙ্গে অনেকজন জুয়ার নেশায় মত্ত।

সন্ধ্যার পর এই মাঠে সংস্কৃতিমনা মানুষ ছাড়া পরিবারসহ অনেকেই ঘুরতে আসেন। উন্মুক্ত মাদক সেবন ও কেনাবেচার কারণে ভীষণ অস্বস্তিতে পড়তে হয় নারীদের।

মিজানুর রহমান নামে মাঠের পাশে এক দোকানমালিক বলেন, ‘সন্ধ্যার পর থেকেই এখানে মাঠের চারপাশ ঘিরে বখাটে ছেলেদের আড্ডা থাকে। উঠতি বয়সী তরুণ থেকে শুরু করে নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ এখানে মাদক সেবন ও কেনবেচার কাজে জড়িত।’

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী ইয়াসির নাইম বলেন, কয়েকদিন আগে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম, হঠাৎ এক বখাটে যুবক এসে জিজ্ঞেস করে গাঁজা খাব কিনা? সন্ধ্যার পর প্রায়ই এখানে এ ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া স্থানীয় হাসিবুর রহমান বলেন, সন্ধ্যার পর মাঠে প্রশাসনের তেমন নজরদারি নেই। সবসময় জুয়া, মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্ম হচ্ছে। এতে মাঠের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আমরা জানি ওখানে সন্ধ্যার পর বখাটে ছেলেদের আড্ডা থাকে। কিন্তু এখানে যে মাদকের ক্র‍য়–বিক্রয় হয় এই বিষয়ে অবগত নই। আমি ওখানে আমাদের টিম পাঠিয়ে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করবো।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!