রেলে ২ কোটি টাকার মালামাল চুরির তদন্তের গতি নেই, আড়ালে পালের গোদা

লাকসাম ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোর ২ কোটি টাকার মালামাল চুরির দুসপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি কমিটি। এ ঘটনায় চারজন আটক হলেও মূলহোতারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।

জানা যায়, মালামাল চুরির ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমান। কমিটির সদস্যরা হলেন— চট্টগ্রাম বিভাগের সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী সঞ্জয় দত্ত, সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা-২ ফেরদৌস আলম ও সহকারী কমান্ড্যান্ট আতাউল গনি ওসমানী।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, লাকসাম রেলওয়ে জংশন নিরাপত্তা বাহিনীর অফিসের সঙ্গে লাগোয়া ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপো থেকে ২ কোটি টাকার মালামাল চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা গত ২৬ আগস্ট জানাজানি হলে ডিপোর হেড মো. জাকের হোসেন বাদী হয়ে লাকসাম রেলওয়ে থানার মামলা করেন৷ মামলার পর চারজনকে আটক এবং ৪ হাজার ২শ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে উদ্ধারের ১ ঘণ্টার মাথায় ফের দখলে রেলের সেই ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি

আটকরা হলেন- মিজান, আবসার, সাগর ও নুরে আলম ।

রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, কোটি টাকার মালামাল চুরির ঘটনার মূলহোতারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির এক সদস্য বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন দিতে সময়ের প্রয়োজন। চাইলে হুট করে প্রতিবেদন দেওয়া যায় না।

এ বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশ লাকসাম থানার ওসি মো. মাসুদুল আলম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, মালামাল চুরির ঘটনায় এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিছু মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে। আশা করি মূলহোতদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

যোগাযোগ করা হলে তদন্ত কমিটির সদস্য সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আলম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, মালামাল চুরির ঘটনা রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। আমাদের প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। এ মুহূর্তে প্রতিবেদন দিলে পুলিশি তদন্ত বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তাই আমরা একটু সময় নিচ্ছি। এছাড়া সময় নিয়ে প্রতিবেদন দিলে প্রকৃত ঘটনা উঠে আসে।

সিএম/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!