চারদিকে জল আর জল। সেই জলের মাঝেই জেগে উঠেছে ছোট্ট এক চর। স্থানীয়দের কাছে যেটি পরিচিত ‘আদার পাহাড়’ নামে। রাঙামাটির ছোট্ট সেই চরে ২০ পরিবারের বাস।
সকাল হলেই এই চরে আসে বোট। সরকারি সেই বোটে চেপে চরের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা নদী ডিঙিয়ে স্কুলে যায়। অবশ্য এজন্য মাস শেষে গুনতে হয় দেড়শ টাকা।
স্কুলের সময়টুকু বাদ দিলে চরজুড়ে দিনভর দাপিয়ে বেড়ায় দস্যি শিশুর দল। কখনো চরের এ মাথা-ও মাথা ঘুরে, আবার কখনো গাছে চেপে বয়ে চলে তাদের বেলা।
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্তের আগমুহূর্ত পর্যন্ত এখানকার নদীর জলে সূর্য খেলা করে। তবে এখানে রাতটা একটু বেশিই অন্ধকার হয়। ছোট্ট এই চরের কোথাও যে নেই বিদ্যুৎ!
দিনভর নিজ নিজ পেশায় ব্যস্ত থাকে গৃহকর্তারা। বসে নেই গৃহিণী-তরুণীরাও। পরিবারের সচ্ছলতা আনতে তারাও ব্যস্ত থাকে জাল বুনতে। ঠিক যেন— সূর্যের আলোয় স্বপ্ন বুনা।
সূর্য ডুবলেই চরের ছোট্ট ছোট্ট ঘরে জ্বলে উঠে হারিকেন। হারিকেনের সেই ছোট্ট আলোয় লেখাপড়া করে ছোট ছোট শিশুরা। তবে হারিকেনের আলোটা ছোট হলেও তাদের স্বপ্নটা কিন্তু অনেক বড়।
আলোকিত চট্টগ্রাম