কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ‘ফেসবুক লাইভ’, মামলা খেল বায়েজিদের মামা-ভাগ্নে

ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট ও মন্তব্য করার অভিযোগে সাইবার ট্রাইব্যুনালে দুব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাউন্সিলর মো. সাহেদ ইকবাল বাবু।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জহিরুল কবিরের আদালতে এ মামলা করেন তিনি।

অভিযুক্তরা হলেন- নগরের বায়েজিদ থানার জালালাবাদ আহমদ আলী হাজারী বাড়ি রোড এলাকার মৃত আহমদুর রহমানের ছেলে মো. নাসের কোম্পানি (৪৮) ও বালুছড়া শফি মুন্সির বাড়ির মৃত মো. ইসহাকের ছেলে মো. সুমন (৩৮)। তাঁরা দুজন সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে।

এদিকে মহানগর পুলিশের বিশেষ শাখা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কামরুল হাসান।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে খুনের মামলা ৫ লাখ টাকায় ফয়সালা, আদালতেও সব আসামি খালাস

বাদী পক্ষে মামলা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রাশেদুল আলম রাশেদ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি জালালাবাদ আহমদ আলী হাজারী বাড়ি রোড এলাকার একটি নালার ওপর অবৈধভাবে নির্মিত দেয়াল ভেঙে দেয় চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশন। এ ঘটনার জেরে হাজী নাসের (নাসের কোম্পানি) নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবুর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করেন। এছাড়া ভিডিওর শেষদিকে কাউকে না ছাড়ার হুমকিও দেন তিনি। সেই লাইভে এসে নাসেরের ভাগ্নে মো. সুমন বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য করেন।

কাউন্সিলর মো. সাহেদ ইকবাল বাবুর দাবি, নাসেরের অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বিব্রতকর। এ কাজে নিজের কোনোরকম সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেন তিনি।

জানা গেছে, নাসেরের এক প্রতিবেশী ভেঙে দেওয়া সেই দেয়াল নিয়ে আগেই সিটি করপোরেশনে অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের পর অবৈধ দেয়ালটি ভেঙে দেয় চসিক। এ নিয়ে কাউন্সিলরের ওপর ক্ষুব্দ হন নাসের।

ফেসবুক লাইভে নাসের বলেন, ‘আমি হাজী নাসের কোম্পানি। সিটি করপোরেশনের কিছু লোক এসে আমার দেয়াল ভেঙে ফেলেছে। আমি তাদের চ্যালেঞ্জ করলাম, আমার বৈধ দেয়াল কেন ভাঙছেন? আমি এদের বললাম খালের পাশে যত অবৈধ স্থপনা আছে সব উচ্ছেদ করেন।’

লাইভে তিনি আরও বলেন, ’এ দেয়াল ভাঙার জন্য কাউন্সিলর অর্ডার দিয়েছেন এবং সিটি করপোরেশন ভেঙে দিয়েছে।’ পরে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমি কিন্তু কাউকে ছাড় দিব না।’

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!