ভিয়ারিয়ালের রূপকথার গল্পের সমাপ্তি, লিভারপুল কোচের রেকর্ড

অ্যানফিল্ডে রূপকথার জন্ম দিতে পারেনি ভিয়ারিয়াল। কিন্তু নামটা তো আর এমনি এমনি হলুদ সাবমেরিন নয়। চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে তাদের বিধ্বংসী রূপটা দেখেছে লিভারপুল। প্রথমার্ধে ২ গোল করে পুষিয়ে নেয় প্রথম লেগের ঘাটতি, স্কোর করে ফেলে ২-২।

কিন্তু অদম্য লিভারপুল দ্বিতীয়ার্ধে ফিরতেই দেখা দেয় চেনারূপে। তিন গোল করে নিজেদের এমন অবস্থায় নিয়ে যায় যে প্রতিপক্ষ আর ঘুরে দাঁড়ানোর মতো সাহস দেখাতে পারেনি।

দ্বিতীয় লেগে ভিয়ারিয়ালকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা মঞ্চে চলে গেছে লিভারপুল। দুই লেগ মিলে স্কোর ৫-২। তাতে পাঁচ বছরের মধ্যে তৃতীয়বার ফাইনালে নাম লেখালো ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।

দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠে রূপকথা লিখতে না পারলেও এই পর্যন্ত ভিয়ারিয়ালের আসাটা রূপকথার চেয়েও কম না। জুভেন্টাস-বায়ার্ন মিউনিখকে বিদায় দিয়েই তারা সেমির দরজা পর্যন্ত চলে এসেছিল। দ্বিতীয় লেগেও যেভাবে সূচনা করেছিল তাতে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের বার্তা দিচ্ছিল এমেরির দল।

আরও পড়ুন: উত্তর কাট্টলীতে গভীর রাতে ভেঙে পড়ল ঘরের ছাদ, মুহূর্তেই লাশ শিশু

তৃতীয় মিনিটেই লিভারপুলকে স্তব্ধ করে দেন বুলায়ে দিয়া। তার টিম এফোর্টে করা দারুণ গোলের পর ৪১ মিনিটে দর্শনীয় গোল করে লিভারপুলের ওপর পাহাড় সমান চাপ বাড়িয়ে দেন ফ্রান্সিস ককেলিন। অসাধারণ এক হেডে পরাস্ত করেন আলিসনকে।

স্বাগতিকদের লড়াইয়ের তেজটা এই পর্যন্তই ছিল বলা চলে। দ্বিতীয়ার্ধে দিয়াজকে নামানোর পর মরিয়া হয়ে খেলা শুরু করে রেডরা। অথচ প্রথমার্ধে তারা লক্ষ্য বরাবর একটি শটও নিতে পারেনি।

তবে বিরতির পর ধীরে ধীরে তারা নিয়ন্ত্রণ নেয় ম্যাচের। তাতে শুরুর দিকে যে ধার দেখা যাচ্ছিল সেখান থেকে পিছিয়ে আসতে থাকে হলুদ সাবমেরিন। সেই সুযোগে ৬২ মিনিটে স্কোর ২-১ করেন ফাবিনহো। সালাহর অ্যাসিস্টে এই ব্রাজিলিয়ান বল পাঠিয়ে দেন গোলকিপারের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে।

৬৭ মিনিটে বদলি হয়ে নামা দিয়াজ এর পর গোল করলে একাধিপত্য নিশ্চিত হয় লিভারপুলের। ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নোল্ডের ক্রসে হেড করে প্রতিপক্ষ গোলকিপারের দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে জালে বল পাঠান কলম্বিয়ান তারকা। সমতা ফেরানোর পর লিভারপুলের পরের গোলটির জন্য অবদান ভিয়ারিয়াল গোলকিপারের। ৭৪ মিনিটে বল বাঁচাতে পেনাল্টি এরিয়া ছেড়ে বের হয়ে এসেছিলেন রুলি। তাকে পাশ কাটিয়ে ওই সুযোগে অরক্ষিত জালে বল পাঠান সাদিও মানে।

শিষ্যদের এই অসামান্য পারফরম্যান্সে অনন্য কীর্তির খাতায় নাম উঠেছে লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপেরও। এক মৌসুমে তিনিই প্রথম কোচ; যিনি এফএ কাপ, লিগ কাপ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে পৌঁছানোর রেকর্ড গড়েছেন।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!