চট্টগ্রামে বিচারক পেটানো আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের আপিলেও দণ্ড কমেনি

নগরের পতেঙ্গা আউটার রিং রোডে উল্টোপথে মোটরসাইকেল চালিয়ে গাড়িকে ধাক্কা দেওয়ার প্রতিবাদ করায় বিচারকের ওপর হামলার ঘটনায় বন্দর থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি ইকবালের ছেলে আলী আকবর ইকবালের ৫ বছরের কারাদণ্ড আপিলেও বহাল রেখেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত এ রায় দেন। তবে আলী হোসেন জিসান নামে এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

দণ্ডিত আলী আকবর ইকবাল (৩০) নগরের বন্দর থানার দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড হাজী আবদুল মালুম বাড়ির বাসিন্দা।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে বিচারককে জিম্মি করে ছিনতাই, হাইকোর্টেও সাজা বহাল ৩ দণ্ডিতের

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালত আলী আকবর ইকবালকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই বছরের ৮ মার্চ সেই রায় বাতিল চেয়ে আলী আকবর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন। আজ (মঙ্গলবার) আপিলে আগের রায় বহাল রাখেন আদালত। অন্য আসামি আলী হোসেন জিসানকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বেঞ্চ সহকারী আরও বলেন, রায়ের দিন থেকে এক মাসের মধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর পতেঙ্গা থানার চরপাড়া নবীর বাপের বাড়ির পাশে বেড়িবাঁধের ওপর তৎকালীন চট্টগ্রাম পঞ্চম যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ জহির উদ্দিন গাড়ি পার্কিং করে রাখেন। এসময় উল্টো পথে মোটরসাইকেল চালিয়ে এসে বিচারকের গাড়িতে আঘাত দেয় আলী আকবর ইকবাল। এসময় চালক মো. রাজু শেখ প্রতিবাদ করতে গেলে বিচারক জহির উদ্দিন ঝামেলা করতে মানা করেন। পরে গাড়িতে উঠে চলে যাওয়ার সময় বিচারককে হামলা করেন আলী আকবর এবং তার সহযোগী হাসান আলী জিসান। পরে স্থানীয় থানা পুলিশ এসে তাদের আটক করে মোটরসাইকেলটি জব্দ করে।

এ ঘটনায় বিচারক জহির উদ্দিনের গাড়ি চালক রাজু শেখ বাদী হয়ে আলী আকবর ও আলী হোসেন জিসানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর আলী আকবর ও তার সহযোগী আলী হোসেন জিসানকে আসামি করে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মহিউদ্দিন চৌধুরী।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!