স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে যুবক ঝুলল দড়িতে, বাবা বলছে খুন

আনোয়ারায় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে মো. ইরফান (২৮) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। তবে নিহতের পরিবারের দাবি এটি পরিকল্পিত খুন।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বোয়ালিয়া গ্রামের জনৈক জাফরের ভাড়া বাসায় এ ঘটনায় ঘটে। পরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।

ইরফান উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। পাঁচবছর আগে বটতলী ইউনিয়নের বরৈয়া গ্রামের খায়ের আহমদের মেয়ে শাহিনুর আকতারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছি।

শাহিনুর আকতার বলেন, পাঁচ বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তিনি চাকরি বা কাজ করে না। সন্তানও নেই। সংসারে অভাব লেগেই ছিল। আমার শাশুড়ি-স্বামী প্রায়সময় নির্যাতন করতেন। নিয়মিত ভাড়া ঘরের টাকাও দিতেন না। বুধবার রাতে ঘরে এলে বাসা ভাড়ার টাকা দেওয়ার জন্য বললে তিনি আমাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে আমি ঘর থেকে বের হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর ঘরে ঢুকে দেখি স্বামীর দেহ ঝুলছে। এরপর আশপাশের লোকজন ডেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন : স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া—ফাঁসিতে ঝুলে পৃথিবীকে বিদায় জানাল যুবক

নিহতের বাবা গিয়াস উদ্দিন বলেন, বিয়ের পর বউ আমার বাড়ি থাকতে না চাইলে ছেলে ভাড়া বাসা নেয়। একবছর আগেও ছেলেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেরে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। ওই ঘটনায় আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। গত বুধবার রাতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মুঠোফোনে জানায়, আমার ছেলে নাকি আত্মহত্যা করেছে। পরে আমি হাসপাতালে গিয়ে ছেলের মৃতদেহ দেখি। তবে এটি পরিকল্পিত খুন। আমি এ খুনের বিচার চাই।

জুইঁদণ্ডী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. ফরিদ বলেন, গত বছর ইরফানকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেরে রাস্তায় ফেলে চলে গেলে আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। এ ঘটনায় থানায় সালিসি বৈঠকও হয়েছিল।

যোগাযোগ করা হলে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।

জিইউটি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!