বঙ্গোপসাগরে ট্রলারে লুটপাট, ৪ জলদস্যু ধরা খেল অস্ত্রসহ

বঙ্গোপসাগরে ডাকাতি ও ৯ জেলে নিখোঁজের ঘটনায় ৪ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭। এসময় তাদের কাছ থেকে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, দুটি হাতুড়ি, তিনটি দা, একটি কিরিচ, দুটি শাবল, জাল এবং একটি বোট উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার পূর্ব বড়ঘোনা এলাকার মৃত আহম্মেদ সফার ছেলে জাহিদ (২৫), পশ্চিম বড়ঘোনা এলাকার আলী আহম্মেদের ছেলে কাইছার ওরফে কালু (২৫), মৃত আলী চানের ছেলে সেলিম (৪০) ও সেলিমের ছেলে ইকবাল হোসেন (১৫)।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব আলম।

আরও পড়ুন: ইঞ্জিন বিকল—নেটওয়ার্ক নেই, ৩ দিন বঙ্গোপসাগরে ভেসেও বাঁচল ১৯ জেলে

এসময় তিনি বলেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বরগুনা জেলার ১৮ জেলে মাছ ধরতে বঙ্গোপসাগরে যাওয়ার পথে ২৫-৩০ জন জলদস্যু তাদের ওপর হামলা করে কুপিয়ে জখম করে। এসময় হামলা থেকে বাঁচতে ৯ জেলে সাগরে ঝাঁপ দেয়। পরে জলদস্যুরা ট্রলার থেকে সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়। এরপর অন্য একটি ট্রলারের জেলেরা আহত ৯ জেলেকে উদ্ধার করে পাথরঘাটার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। তাদের মধ্যে আহত দুজনকে ওইদিন রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব আলম বলেন, নিখোঁজ ৯ জেলের মধ্যে চারজনকে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) অন্য একটি ট্রলারের জেলেরা উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। ওইদিন দুপুর সাড়ে ৩টায় আব্দুল হাই নামের এক জেলের মৃত্যু হয়। তবে এখন পর্যন্ত পাঁচ জেলে নিখোঁজ আছেন।

তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত জলদস্যুরা বাঁশখালী এলাকায় অবস্থানের খবরে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি তারা বোট নিয়ে সমুদ্রে ডাকাতির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কক্সবাজার কুতুবদিয়া চ্যানেল এলাকায় একটি ট্রলারে ডাকাতি করে। পরে বরগুনা-পটুয়াখালী চ্যানেলে গিয়ে ফের ডাকাতি করে।

এনইউএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!