বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার পর বহির্বিশ্বে স্বাধীন রাষ্ট্রের পরিচিতি পায় বাংলাদেশ : বেদার

বাংলাদেশের প্রথম সরকার প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক দিবস পালন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১০ এপ্রিল) নগরের দোস্ত বিল্ডিংস্থ কার্যালয়ে এ সভার আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম-বৃহত্তর চট্টগ্রাম। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠন সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী।

আবদুল মালেক খানের সঞ্চালনায় এতে প্রধান আলোচক ছিলেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার।

আরও পড়ুন: আপসহীন নেতৃত্ব ও সুবিশাল হৃদয় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রের বিশেষত্ব : বেদার

বক্তব্যে বেদারুল আলম বেদার বলেন, ১৯৭১ সালে বাঙালির সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধকালীন ঐতিহাসিক মুহূর্তে ১০ এপ্রিল সত্তরের নির্বাচনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সাংবিধানিক সরকার গঠিত হয়েছিল। যা প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার বা মুজিবনগর সরকার নামে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করে। ২৫ মার্চ ভয়াল কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদারদের নির্বিচারে গণহত্যা ও ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর বাংলাদেশ বহির্বিশ্বের কাছে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিল।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণার ১৫ দিনের মাথায় সরকার গঠন করা হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার বা মুজিবনগর সরকার। যা অকল্পনীয় ছিল পাকিস্তানিদের কাছে। সরকার গঠনের পর বঙ্গবন্ধু ঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। এই অস্থায়ী সরকার গঠনের মধ্যদিয়ে মুক্তিবাহিনীকে সংগঠিত ও সমন্বয় করে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ পরিচালনা ও স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায় করেছিল মুজিব নগর সরকার।

সভায় বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট সাইফুন নাহার খুশী, ইঞ্জিনিয়ার পলাশ বড়ুয়া, মো. কামাল উদ্দিন, দীপন দাশ, রাজীব চন্দ, মোস্তাফিজুর রহমান, বিপ্লব, নবী হোসেন, সালাউদ্দিন, আশফাক আহমেদ, এসএম রাফি, রিমন চৌধুরী আরমান ও প্রদীপ দাশ।

সভায় বক্তারা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেকোনো ধরনের কটুক্তির বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!