বউ-ছেলে মিলে খুন করে হাসানকে, লাশকে ৮ টুকরো

সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে স্ত্রী ও সন্তান মিলে খুন করেন মো. হাসানকে (৬১)। ২৭ বছর ধরে নিরুদ্দেশ থাকা হাসান সম্প্রতি গ্রামের বাড়ি বাঁশাখালিতে ফিরেন। তার পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়। এর জেরে স্ত্রী-সন্তান মিলে তাকে খুন করে। এরপর লাশ ৮ টুকরো করে ট্রলি ব্যাগে ফেলে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পতেঙ্গা বোট ক্লাবের অদূরে ১২ নম্বর ঘাটে ট্রলি ব্যাগে খণ্ডিত লাশের রহস্য উদঘাটন শেষে এ তথ্য জানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেনশন (পিবিআই)।

পিবিআিই জানায়, নিহত মো. হাসান চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের বড়ইতলী গ্রামের সাহাব মিয়ার ছেলে। নিহতের মাথা এখনও পাওয়া যায়নি। সেটির খোঁজে তল্লাশি চলছে। নিহতের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) অস্থায়ী ঠিকানা লেখা আছে সিলেট সদরের সাধুর বাজার সংলগ্ন রেলওয়ে কলোনির জামাল মিয়ার গ্যারেজ।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে রাতের আঁধারে ব্যবসায়ীকে খুন করেছিল ৩ যুবক, যাবজ্জীবন দণ্ড

এদিকে হাসানের খুনের ঘটনায় স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম ও বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ছোট ছেলে সফিকুর রহমান জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী আনারকলি পলাতক।

এ বিষয়ে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ পরিদর্শক ইলিয়াস খান বলেন, হাসানের মাথা ছাড়া শরীরের সব অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক স্ত্রী ও বড় ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) একেএম মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, ২৭ বছর ধরে নিরুদ্দেশ থাকা হাসান সম্প্রতি বাঁশখালীর ঘরে ফিরেন। সেখানে তার কিছু পৈত্রিক সম্পত্তি রয়েছে। সম্পত্তি স্ত্রী-সন্তানের নামে লিখে দিতে বললে তিনি রাজি হননি। এ নিয়েই বিরোধের সৃষ্টি। এরপর গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানার আকমল আলী সড়কের পকেট গেইট এলাকার জমির ভিলার ৭ নম্বর বাসায় স্ত্রী ও সন্তান মিলে তাকে খুন করে।

এএসপি সেলিম বলেন, হত্যাকাণ্ডের দশ দিন আগে চিকিৎসার জন্য হাসানের স্ত্রী চট্টগ্রাম শহরে ছোট ছেলের বাসায় আসেন। ঘটনার দিন বড় ছেলে মোস্তাফিজুরও সেই বাসায় যান। সেদিন রাতে সম্পত্তি নিয়ে হাসানের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সবাই মিলে হাসানকে খুন করে। পরে লাশ কেটে ৮ টুকরো করে ট্রলি ব্যাগে নিয়ে ফেলা হয় পতেঙ্গা ১২ নম্বর ঘাট এলাকার খালে। ছোট ছেলে শরীরের টুকরোগুলো বিভিন্ন স্থানে ফেলে।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!