১০০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ১২ জন

মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে মাত্র একশ টাকা খরচে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে ২ নারীসহ মোট ১২ জন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে চাকরি পেয়েছেন।

জানা গেছে, চাকরি পাওয়া ১২ জনের প্রায় সবাই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। চাকরি পাওয়াদের মধ্যে রাঙামাটি সদর উপজেলা থেকে ৪ জন, লংগদু উপজেলা থেকে একজন নারীসহ মোট ৫ জন, নানিয়ারচর উপজেলা থেকে ১ জন নারী ও একজন পুরুষ এবং চন্দ্রঘোনা থেকে ১ জন রয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘চাকরি নিয়ে ঝগড়া’—গৃহবধূ ঝুলল দড়িতে, স্বামীকে খুঁজছে পুলিশ

চাকরি পাওয়াদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১ জন, উপজাতীয় কোটায় ১ জন, পোষ্য কোটায় ১ জন ছাড়া বাকি সবাই সাধারণ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া। মধ্যে দু’জনের বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন।

পুলিশে চাকরি পাওয়া লংগদু উপজেলার সোনাই এলাকার বাসিন্দা নাসরিন আক্তার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, দরিদ্র পরিবারের সন্তান আমি। গ্রামে বাবা পানের দোকান চালিয়ে সংসার চালান। অনেক কষ্ট করে আমি পড়াশোনা চালিয়েছি। ১০০ টাকা ব্যাংক ড্রাফট করে চাকরির আবেদন করেছিলাম। আর কোনো টাকা ছাড়া সরকারি চাকরি পাবো এটা কল্পনাতেও ছিল না।

এদিকে গত রোববার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে রাঙামাটির সুখী নীলগঞ্জের নতুন পুলিশ লাইনে রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ হওয়া ১২ জনকে ফুল দিয়ে ও মিষ্টিমুখ করিয়ে বরণ করেন রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন।

আরও পড়ুন: ‘পুঁজি ছাড়াই লাখপতি’—চট্টগ্রাম বন্দর সচিব সেজে চাকরির নামে বাণিজ্য

চাকরি পাওয়াদের উদ্দেশ্যে পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন বলেন, এবারের মতো স্বচ্ছ নিয়োগ পরীক্ষা বিগত দিনে আর হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আজ যারা চাকরি পেয়েছে তারা নিজেদের যোগ্যতা দিয়েই পেয়েছে। এখানে অন্যকিছু ভাবার অবকাশ নেই। দেশপ্রম ও সততা বজায় রেখে মানুষের কল্যাণে তোমাদের নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মারুফ আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক, কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কবির হোসেনসহ পুলিশে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ।

আলমগীর/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!