পরিবহন নেতাদের চাপে ‘ডিভাইডারের ফাঁক’ এখন গলার কাঁটা, বাঁশ-রশিতে রক্ষা!

হাটহাজারী-অক্সিজেন মহাসড়কের বিভিন্ন জনবহুল স্থানে সংযোগ সড়কে যাতায়াতের জন্য ডিভাইডারের মাঝে ফাঁক রাখা হয়েছে। ডিভাইডার ফাঁক দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন মোড় নেওয়া (ইউটার্ন) ও পথচারীর রাস্তা পারাপারের কারণে বেড়েছে যানজট ও দুর্ঘটনা

স্থানীয়দের মতে, সংযোগ সড়কের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা ডিভাইডারের ফাঁক বন্ধ করে অন্য স্থানে রাখলে সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট দুটোই কমে আসবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাটহাজারী-অক্সিজেন সড়কের বিভিন্ন স্থানে সংযোগ সড়কের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ডিভাইডারের মাঝখানে ফাঁক রাখা হয়েছে। এসব ফাঁক দিয়ে এলোমেলোভাবে যানবাহন চলাচল, মোড় নেওয়া ও পথচারী রাস্তা পার হচ্ছে। এসব কারণে প্রায়সময় যানজট লেগে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনাও ঘটে।

হাটহাজারী-অক্সিজেন সড়কের বটতল মাজার গেট, বালুচড়া, নতুনপাড়া ব্রিজ, আমানবাজার জিয়াউর রহমান কলেজ গেট, বড়দিঘীর পাড় মোড়, নসরত শাহ মসজিদের সামনে, ফতেয়াবাদ মোড়, চবি ১নং গেট, শেরে বাংলার মাজার গেট, হাটহাজারী বাস স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানের ডিভাইডারে ফাঁক রাখা হয়েছে। মিলিয়ে রাখা ডিভাইডারে ফাঁক বন্ধ করে অন্য স্থানে করা হলে যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে।

আরও পড়ুন: ঝোপের ভেতর প্লাস্টিকের বস্তায় দেশি প্রযুক্তির ওয়ান শুটার গান

বিশেষ ইঞ্জিননচালিত রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, থ্রি হুইলারসহ বিভিন্ন যানবাহন হঠাৎ ইউটার্ন নেওয়ার কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। মহাসড়ক ও সংযোগ সড়কের দুপাশে সিএনজি অটোরিকশা ও ইঞ্জিনচালিত রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনের স্ট্যান্ড হওয়ার কারণেও যানজট বাড়ে। বিশেষত সপ্তাহিক ছুটির দিনে দীর্ঘ যানজটে মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। এর ফলে অ্যাম্বুলেন্সসহ সাধারণ মানুষ যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না।

সংযোগ সড়কের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা ডিভাইডার ফাঁক বন্ধ করে সামান্য দূরে রাখা হলে যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা দুটোই কমে আসবে। বিভিন্ন সময় স্থানীয়রা বাঁশ ও রশি দিয়ে ডিভাইডারের ফাঁক বন্ধ করে যানজট নিরসন করতে দেখা গেছে। এছাড়া হাটহাজারী বাস স্ট্যান্ডে ট্রাফিক পুলিশ রশি ও পাথর দিয়ে যানজট নিরসন করছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাটহাজারী ট্রাফিক পুলিশের টিআই মো. সামিউল আলম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সংযোগ সড়কের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা ডিভাইডার ফাঁক দিয়ে হঠাৎ মোড় নেওয়ার কারণে যানজট ও দুর্ঘটনা ঘটে। হাটহাজারী বাস স্ট্যান্ডে আমরা রশি ও পাথর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে যানজট নিরসন করছি। তবে ডিভাইডার ফাঁক রাখা কিংবা বন্ধ করা সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) হাতে। তারা চাইলে ফাঁক বন্ধ ও চালু রাখতে পারে।

বিষয়টির ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সড়ক ও জনপদ (সওজ) হাটহাজারীর উপসহকারী প্রকৌশলী আবু আহসান মো. আজিজুল মোস্তফা আলেকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সড়কের নকশাতে সংযোগ সড়কের মুখোমুখি ডিভাইডার ফাঁক নেই। তবে বিভিন্ন নেতা ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের চাপে রাখা হয়। বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আছে। ডিভাডাইডারে ফাঁক সরিয়ে নিতে হলে সড়কের নকশা পরিবর্তন করতে হবে। তবে সাধারণ মানুষ ও চালকেরা সচেতন হলে যানজট ও দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!