ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ৪০০ কোটি টাকা মেরে দিল ব্যাংকেরই ‘পরিচালক’, পরোয়ানা

৪০০ কোটি টাকার চেক প্রতারণা মামলায় সাবেক ব্যাংক পরিচালক মো. নুর- উন-নবীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ষষ্ঠ মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।

নূর-উন- নবী লক্ষ্মীপুর জেলার নবীনগর সাংকি ভাঙা এলাকার মৃত নুর-উন রহমানের ছেলে। তিনি ডবলমুরিং থানার ৯৩২, শেখ মুজিব রোড মিঠাগলির মের্সাস আক্তার এন্টারপ্রাইজের মালিকও।

জানা গেছে, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার ৩০৫/২০২২ ও ১১০২/২০২২ মামলা দুটি ২০০ কোটি টাকা করে ৪০০ কোটি টাকার। এর আগে চেক প্রতারণায় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে আদালতে এনআই অ্যাক্টের অভিযোগ দায়ের করেন।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রাম নগর পুলিশের দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে বিচারকের মামলা, পরোয়ানা

বাদীপক্ষের আইনজীবী এএম জিয়া হাবীব আহসান বলেন, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার করা ৪০০ কোটি টাকার ২টি চেক প্রতারণার মামলায় সাবেক ব্যাংক পরিচালক মো. নুর-উন- নবীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নুর- উন-নবীকে স্ব-শরীরে হাজির হওয়ার জন্য আদালত সমন জারি করেন। কিন্তু আদেশ অমান্য করে তিনি হাজির না হওয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হলে আদালত সংশ্লিষ্ট থানাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০০ কোটি টাকার চেক প্রতারণার অভিযোগে একই আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই দুমামলা ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক হালিশহর শাখার ১৫০ কোটি টাকার চেক প্রতারণার আরও একটি অভিযোগ রয়েছে।

বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন অ্যাডভোকেট এএইচএম জসিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট সাইফুদ্দিন খালেদ, অ্যাডভোকেট ও এডিশনাল পিপি সিরাজুল মোস্তফা মাহমুদ, অ্যাডভোকেট মো. হাসান আলী, অ্যাডভোকেট মো. বদরুল হাসান ও অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন আরমান।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!