তুরস্কে অপহৃত বাংলাদেশি যুবকের মুক্তি মেলেনি ৩ লাখ টাকায়ও

৩ লাখ মুক্তিপণ আদায়ের পরও তুরস্ক প্রবাসী রুবেল মিয়ার খোঁজ না পাওয়ায় অবশেষে আদালতে মামলা করেছেন বড় ভাই মফিজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) মহানগর হাকিম সাদ্দাম হোসেনের আদালতে এ মামলা করা হয়।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- আনোয়ার হোসেন এবং সাতক্ষীরা দারোগার হাট শ্রীপুর এলাকার আবু বকর মোল্লার ছেলে জাহাঙ্গীর।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামের অপহৃত যুবককে রাঙ্গুনিয়া থেকে উদ্ধার করল পুলিশ

এদিকে শুনানি শেষে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হাসানুল করিম আরজু।

আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী রুবেল মিয়া ১০ বছর আগে ওমান পাড়ি জমান। সেখান থেকে পাঁচ বছর আগে তুরস্কর রাজধানী ইস্তাম্বুলে চলে যান। সেখানে তিনি একটি গার্মেন্টসের শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

গত ৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি বিদেশি ফোন নম্বর থেকে রুবেলের বড় ভাই মফিজুল ইসলামের হোয়াটসঅ্যাপে কল আসে। এসময় জাহাঙ্গীর পরিচয়ে এক ব্যক্তি জানান, রুবেলকে দুর্বৃত্তরা আটকে রেখেছে। ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ না দিলে তাকে মেরে ফেলবে। এরপর জাহাঙ্গীর ফোনকলে রুবেলের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন।

এসময় রুবেল ফোনকলে কান্নাকাটি করে বড় ভাই মফিজুল ইসলামকে বলেন, আমাকে আটকে রেখেছে। তারা যা চাই দিয়ে দাও। পাঠানোর ব্যবস্থা করো, না হয় তারা আমাকে মেরে ফেলবে।

এরপর আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর পর যোগাযোগ করিয়ে দিতে দুর্বৃত্তদের অনুরোধ জানালে তারা অন্য একটি নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেন। পরবর্তীতে ওই নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও বারবার ব্যর্থ হয় রুবেলের পরিবার।

পরে পরিবারের পক্ষ থেকে রুবেলের রুমমেট মো. সুলতানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মানি ট্রান্সপারেন্সির মাধ্যমে আসামিদের আড়াই লাখ টাকা পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে তিনি বিভিন্ন প্রমাণও পাঠিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত রুবেলের সঙ্গে যোগাযোগ নেই তার পরিবারের।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!