ডাক্তারকে জরিমানা—পার পেলেন না সেই ইউএনও

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নজরুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাঁকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।

রোববার (৪ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান।

শুক্রবার (২ জুলাই) বিকালে লকডাউন অমান্য করার অপরাধে ইউএনও নজরুল ইসলাম এক ডাক্তারকে জরিমানা এবং হেনস্থা করার একদিন পর এলো এই বদলির আদেশ।

ডা. ফরহাদ কবির নামের এক চিকিৎসককে শুক্রবার সংক্রমণ প্রতিরোধ আইনে হাজার টাকা জরিমানা করেন ইউএনও নজরুল ইসলাম। ডা. ফরহাদ এ সময় চলমান বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকার কথা জানালে আরো ক্ষেপে যান ইউএনও। সেই সঙ্গে দেখান জেলে পাঠানোর ভয়।

জানা যায়, ডা. ফরহাদ সাতকানিয়ার পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাকানিয়া ছড়ারকুলের বাসিন্দা। পৌরসভার নাছির ফার্মেসি ও মক্কা ফার্মেসিতে তিনি নিয়মিত চেম্বার করেন। ঘটনার দিনও ফিরছিলেন চেম্বার থেকে। কিন্তু মাঝপথে এক ইমার্জেন্সি রোগী আসায় আবারো চেম্বারে যাচ্ছিলেন তিনি। সাতকানিয়া পৌরসভার কলেজ রোডে পৌঁছলে ইউএনও’র সঙ্গে থাকা লোকজন সিগন্যাল দিলে তিনি মোটরসাইকেল থামিয়ে পরিচয় দেন।

কিন্তু ডাক্তার পরিচয় পেয়ে আরো ক্ষেপে যান ইউএনও। এ সময় দুই হাজার টাকা জরিমানা দিতে বলেন। কারণ হিসেবে ‘লকডাউনে বের হওয়াকে’ অপরাধ হিসেবে দেখান ইউএনও। ডাক্তাররা বিধিনিষেধের আওতামুক্ত বলার পর তিনি আরো রেগে গিয়ে জেলে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে এক হাজার টাকা জরিমানা দিতে বলেন।

এদিকে এ ঘটনায় ইউএনও নজরুল ইসলাম ফরহাদের সঙ্গে আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং হেলমেট না থাকার কথা বলেন। আর সেজন্য এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান।

কিন্তু আইডি কার্ড না থাকার কথা বললেও মামলায় নাম ডা. ফরহাদ উল্লেখ করেন ইউএনও। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেটের কথা বললেও বাস্তবে মামলা দেন দণ্ডবিধি ২৭০ ধারা (বিদ্বেষপূর্ণ কর্ম, যা দ্বারা জীবন বিপন্নকারী রোগের সংক্রমণ বিস্তার লাভের সম্ভাবনা রয়েছে) ও ২৭১ ধারায় (সঙ্গরোধ সংক্রান্ত নিয়ম অমান্য করা)।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!