টেকনাফে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৮ জনকে অপহরণ, টাকা না পেলেই ‘খুন’

টেকনাফে তিন শিক্ষার্থীসহ ৮ জনকে অপহরণ করেছে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। অপহরণকারীরা মোবাইলে ফোনে প্রতিজনের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড জাহাজপুরা পাহাড়ের ভেতর ছড়া থেকে মাছ শিকারের সময় তাদের অপহরণ করা হয়।

অপহৃতরা হলেন- বাহারছডা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড জাহাপুরা এলাকার রশিদ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ, ছৈয়দ আমিরের ছেলে মোস্তফা কামাল, মমতাজ মিয়ার ছেলে মো. রিদুয়ান, রুস্তম আলীর ছেলে সেলিম উল্লাহ, ছৈয়দ আমিরের ছেলে করিম উল্লাহ, কাদের হোসেনের ছেলে নুরুল হক, রশিদ আহমদের ছেলে আবছার ও নুরুল হকের ছেলে নুর মোহাম্মদ।

আরও পড়ুন: দুহাতের কব্জি কেটে উল্লাস, র‌্যাবের জালে টেকনাফের ৫ নিষ্ঠুর

অপহৃত রিদুয়ানের বাবা মমতাজ মিয়া আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, রিদুয়ানসহ ৮ জন পাহাড়ের ছড়ায় মাছ ধরতে যায়। এসময় হঠাৎ সন্ত্রাসীরা এসে অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে নিয়ে যায়। পরে এই খবর স্থানীয় লোকদের মাধ্যমে জানতে পারি। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যানসহ থানা পুলিশকে জানাই। তবে এখন পর্যন্ত অপহৃতদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে রাত ৯টার দিকে অপহরণকারীরা ফোন করে প্রতিজনের পরিবারের কাছে ৩ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করেছে।

এ বিষয়ে বাহারছড়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কলেজের তিন শিক্ষার্থীসহ ৮ জন পাহাড়ের ছড়াতে মাছ ধরতে গিয়ে অস্ত্রধারীদের কবলে পড়ে। এই পাহাড়ি এলাকাগুলো দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। সুযোগ বুঝে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করছে। না দিলে তাদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

যোগাযোগ করা হলে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল হালিম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকায় ৮ জনকে অপহরণের ঘটনায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। অপহরণকারীদের অবস্থান সম্পর্কে জানা গেলে বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বিডি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!