টেকনাফে দুহাতের কব্জি কেটে প্রকাশ্যে উল্লাসের ঘটনায় করা মামলায় জড়িত ৫ জনকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- নাজিরপাড়ার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে নুরুল হক (৩৮), দিল মোহাম্মদ কালুর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), মৃত ফজল আহমদের ছেলে দিল মোহাম্মদ কালু (৫৮), শীলবনিয়াপাড়ার মীর কাশেমের ছেলে আবুল কালাম (৩৮) এবং নাজিরপাড়ার মৃত মো. রফিকের ছেলে ছৈয়দ উল্লাহ (৩৬)। তারা সবাই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
এর আগে শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ৬৬০০ ইয়াবা নিয়ে বাঁশখালী গিয়েছিল টেকনাফের যুবক
এ বিষয়ে র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আবু সালাম চৌধুরী বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন সদস্য এনামুল হক ও তার বাহিনী টেকনাফের নাজিরপাড়ার মৃত নজির আহমদের ছেলে সিদ্দিক আহমদের দুহাতের কব্জি কেটে প্রকাশ্যে উল্লাসে মেতে উঠেন। এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর ভিকটিম ছিদ্দিক আহমদের ছেলে রাশেদুল আলম টেকনাফ মডেল থানায় মামলা করেন।
তিনি বলেন, মামলার পর আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে চলে যান। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারসহ বিভিন্ন এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়। এরপর শুক্রবার কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকা থেকে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এজাহারনামীয় ৩ নম্বর আসামি নুরুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১টি অস্ত্র, ১টি মাদক, ১টি চাঁদাবাজি ও ২টি মারামারির মামলা রয়েছে। এছাড়া ৭ নম্বর আসামি জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে রামু ও টেকনাফ থানায় ১টি অপহরণ ও ১টি মারামারির মামলা রয়েছে। ৮ নম্বর আসামি দিল মোহাম্মদ কালুর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মারামারির মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারদের টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।