জিহাদি বই মিলল চট্টগ্রাম মহসিন কলেজ মসজিদের আলমিরাতে

নগরের সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ক্যাম্পাস মসজিদ থেকে বিপুল পরিমাণ জিহাদি ও ধর্মীয় উসকানিমূলক বই উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজের পর কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মসজিদের আলমিরা থেকে এসব বই উদ্ধার করে। সেখানে অধ্যাপক গোলাম আজমসহ জামায়াতি ঘরানার লেখকদের ১০০ কপিরও বেশি ধর্মীয় উসকানিমূলক ও জিহাদি বই পাওয়া যায়।

কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, কলেজ ক্যাম্পাসের মসজিদের আলমিরা থেকে ছাত্রশিবির ও জামায়াতি ইসলামী আদর্শ প্রচারে বিভিন্ন বইয়ের স্তূপ পাওয়া যায়। সেখানে ছাত্রশিবিরের কর্মপদ্ধতি বই, আমার দেশ বাংলাদেশসহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শতাধিক বই ছিল।

উদ্ধার হওয়া এসব বইয়ের একটি বড় অংশই লিখেছেন মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি হওয়া জামায়াত নেতা অধ্যাপক গোলাম আজমসহ শিবির নেতারা। উদ্ধার হওয়া বইয়ের বেশিরভাগই ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত।

আরও পড়ুন: সরে গেল নগর ছাত্রলীগের ২ নেতার বহিষ্কার

প্রত্যক্ষদর্শী ও মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী সোহেল আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আমরা দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসের মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যাই। নামাজ শেষে মসজিদের মোয়াজ্জিন হুজুর আমাদের ইসলামিক বই পড়ার পরামর্শ দেন। হুজুরের কথামতো নামাজ শেষে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় ইসলামিক বই পড়তে যাই আমরা সবাই। যাওয়ার পর আলমিরা খুলতেই দেখি পুরো আলমিরাতে ছাত্রশিবিরের জিহাদি ও ধর্মীয় উসকানিমূলক বই।

তিনি আরও বলেন, বইগুলো দেখার সাথে সাথে মসজিদের মোয়াজ্জিন হুজুরের কাছে বইগুলো কোথা থেকে আসল জানতে চাইলে তিনি এসব বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে চলে যান। পরে বিষয়টি আমরা কলেজ প্রশাসনকে জানাই। উদ্ধার হওয়া বইগুলো তাদের কাছে হস্তান্তর করি।

এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পলাশ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আমি পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে শহরের বাইরে আসছি। আজকে দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসের মসজিদের আলমিরা থেকে শতাধিক ইসলামি ছাত্রশিবিরের জিহাদি ও ধর্মীয় উসকানিমূলক বই উদ্ধার করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মহসিন কলেজে নানা আয়োজন

বইগুলো কোথা থেকে আসল জানতে চাইলে তিনি বলেন, কলেজ ক্যাম্পাস শিবিরমুক্ত করার পর পুলিশও একাধিকবার তল্লাশি চালিয়েছিল। মসজিদের আলমিরায় যেসব বই পাওয়া গেছে বেশিরভাগই ১৯৯৪ সালের। বইগুলো অনেক পুরোনো। কারণ মসজিদ পবিত্র স্থান। পুলিশ যখন তল্লাশি করছিল তখন হয়ত মসজিদ হওয়াতে সেখানে তল্লাশি করেনি। যার কারণে বইগুলো এখানে ছিল।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ কামরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আজ জুমার নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাই। জুমার নামাজ পড়ে বের হলে মসজিদের আলমিরায় ইসলামি ছাত্র শিবিরের জিহাদি ও ইসলামি ফাউন্ডেশনের কিছু বই পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে বইগুলো অনেক আগে থেকে সেখানে রয়েছে। এতদিন কারও চোখে পড়েনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিষয়টি কলেজ প্রশাসনকে জানিয়ে বইগুলো তাদের কাছে দিয়েছি। এছাড়া আমরা চকবাজার থানা পুলিশকেও বিষয়টি অবগত করেছি।

এএইচ/এসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!