জমির বিরোধে খুন—৪ জন খালাস পেলেও ফেঁসে গেল ৩ জন

কর্ণফুলীতে জমি নিয়ে বিরোধে আব্দুস সবুর খুনের মামলায় ২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৩১ মে) চট্টগ্রাম দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মু. আমিরুল ইসলাম এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কর্ণফুলী থানার খোয়াজনগর এলাকার মৃত জহুর আহাম্মদের ছেলে মো. জাবেদ ও একই এলাকার মৃত মাইজ্যা মিয়ার ছেলে হাবিজ আহমদ। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি একই এলাকার ছবির আহমদের ছেলে মিন্টু মিয়া।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আব্দুস সবুর খুনের মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আরও চার অভিযুক্তকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

আরও পড়ুন : ছেলের গুলিতে মা খুন—নেতার ছেলের বিচার শুরু

মামলার অভিযোগে জানা যায়, ২০১০ সালের ৫ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আব্দুস সবুরের জমি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করেন আসামিরা। এসময় আব্দুস সবুর ও তার ভাই আব্দুর করিম বাধা দিতে গেলে আব্দুস সবুরকে বুকের বাম পাশে এবং হাবিজ আহমদ পেটে ছুরিকাঘাত করেন দণ্ডপ্রাপ্ত জাবেদ। এছাড়া অন্য আসামিরা লাঠিপেটা করেন। এসময় আসামিদের হামলায় আব্দুল করিমসহ আরও অনেকে আহত হন। পরে আহত আব্দুস সবুর ও তার ভাই আবুদর রহিমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুস সবুরকে মৃত ঘোষণা করেন।

এরপর আব্দুস সবুরের স্ত্রী বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় মামলা করেন। ২০১১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর কর্ণফুলী থানার এসআই উৎপল বড়ুয়া মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। এতে ৯ জনকে আসামি করা হয় এবং ১৫ জনকে সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। চার্জ গঠনের আগে এক আসামি মারা যাওয়ায় ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল ৮ আসামির বিরুদ্ধে আদালত চার্জ গঠন করেন। এ মামলায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!