জন্মনিবন্ধন জালিয়াতিতে আবারও ধরা খেল নির্বাচন কমিশনের সেই জয়নাল

জন্মনিবন্ধন জালিয়াতির অভিযোগে ফের গ্রেপ্তার করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের সাময়িক বরখাস্ত কর্মচারী জয়নাল আবেদিন (৩৮)। এর আগে তাকে রোহিঙ্গাদের ভোটার করা অভিযোগে দুসহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে লালদীঘি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।

গ্রেপ্তার জয়নাল আবেদিন বাঁশখালী উপজেলার পৌর সদরের আশকরিয়াপাড়ার ট্রলার শ্রমিক আবদুল মোনাফের ছেলে।

আরও পড়ুন : রাহুর কবলে সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধন সার্ভার, ইপিজেডের দোকানে টাকায় মেলে সনদ

জানা গেছে, ২০১৯ সালে জয়নালকে গ্রেপ্তারের পর সাময়িক বরখাস্ত করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
জয়নাল নগরের ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির ঘটনায় দুটি মামলা তদন্তাধীন আছে।

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি ভুয়া জন্মনিবন্ধন তৈরির ঘটনায় নগরের ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের জন্মনিবন্ধন সহকারী আনোয়ার হোসেনের করা খুলশী থানার মামলায় জয়নাল আবেদিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করে গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি ৩৮ নম্বর বন্দর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সার্ভারে ৪০টি, ৯ জানুয়ারি ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সার্ভারে ১০টি এবং ২১ জানুয়ারি ৪০ নম্বর পতেঙ্গা ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সার্ভারে ৮৪টিসহ ৬টি ওয়ার্ডে মোট ৭৯৭টি ভুয়া জন্মনিবন্ধনের প্রমাণ পায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ছায়া তদন্ত শুরু করে।

এরপর গত ২৩ জানুয়ারি নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. জহির আলম (১৬), মোস্তাকিম (২২), দেলোয়ার হোসাইন সাইমন (২৩) ও মো. আব্দুর রহমান প্রকাশ আরিফকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়।

পরদিন ২৪ জানুয়ারি ভুয়া জন্মনিবন্ধন তৈরির ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের জন্মনিবন্ধন সহকারী আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে খুলশী থানায় মামলা করেন।

সেই মামলায় আসামিদের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেয়। আদালত দুজনের ৩ দিন করে ও দুজনের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরপর গত ২৫ জানুয়ারি ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে ভুয়া জন্মনিবন্ধন তৈরির অভিযোগে মনি দেবী নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে ইপিজেড এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাকিব হোসেন হিমেল (২৭) নামে এক কম্পিউটার দোকানিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!