ছদ্মবেশে অভিযান—চট্টগ্রাম মেডিকেলে ঘুষের টাকাসহ ধরা ২ কর্মচারী

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসময় ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে দুই কর্মচারীকে আটক করা হয়।

মঙ্গলবার (১৪ সভেম্বর) দুপুরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, মেডিসিন ওয়ার্ড ও গাইনি ওয়ার্ডে দুদকের এ অভিযান পরিচালনা করেন দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের এনফোর্সমেন্ট টিম।

আটকরা হলেন— টিপু সোলতান (৩৭) ও মো. মোরশেদ আলম (৩০)। তারা দুজন আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী। পরে পরিচালকের কাছে তাদের সোপর্দ করা হয়।

দুদক জানায়, চমেক হাসপাতালে আসা বিভিন্ন শ্রেণির রোগীদের বিশেষ করে সংকটাপন্ন রোগী ও তাদের স্বজনদের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে আউসসোর্সিং, স্পেশাল ভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মচারী ও দালালরা প্রতিনিয়ত হয়রানি করে।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রাম মেডিকেলে হঠাৎ অভিযান, পুলিশের জালে ৫ দালাল

এছাড়া হাসপাতালে কর্মরত আনসার, আউটসোর্সিং ও স্পেশাল ভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মচারীরা পরস্পরের যোগসাজশে জরুরি বিভাগের মূল ফটকে হুইলচেয়ার ও ট্রলির কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কৌশলে টাকা আদায় করে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে।

হুইলচেয়ার, ট্রলিপ্রতি রোগীদের সর্বনিম্ন ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। তাছাড়া লিফটম্যান ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের গেটে দায়িত্বরত আনসারদের টাকা না দিলে সেবাগ্রহীতাদের দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয়। রোগী রিলিজের সময় হুইলচেয়ার ও ট্রলির দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মচারী ও আয়াদের ঘুষ দিতে হয় বলে জানায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।

দুদক আরও জানায়, আটক দুজন কর্মচারীর ঘুষ গ্রহণের বিবরণসহ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসানের কাছে দেওয়া হলে তিনি অভিযুক্ত টিপু সোলতান ও মো. মোরশেদ আলমকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন। এছাড়া অভিযানের বিস্তারিত উল্লেখপূর্বক দুদক কমিশন বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

প্রসঙ্গত, শনিবার (১১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় চমেক হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ইফতেখার শাওন (২৯), আলাউদ্দিন প্রকাশ মাসুদ (৪২), মো. সজীব হাওলাদার (২৪), শামীম (২৮) এবং ওমর ফারুক (৩২) নামে পাঁচ দালালকে আটক করে পুলিশ।

এমএ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!