চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও ফেসবুকে, র‌্যাবের জালে যুবক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে আরাফাত হোসেন (২৩) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরের লালখানবাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার।

আটক আরাফাত হোসেন নগরের খুলশী থানার লালখানবাজার এলাকার মো. হামিদ হোসাইনের ছেলে। তিনি ভিকটিম তরুণীর সাবেক স্বামী।

আরও পড়ুন: টার্গেট তরুণী—গোপনে ভিডিও করে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেল ২ যুবক

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রীর সঙ্গে ২০২০ সালে আরাফাত হোসেনের ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর প্রতারণার মাধ্যমে আরাফাত ভিকটিমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন। এর মধ্যে নানা প্রলোভনে ভিকটিমকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন তিনি। তিন মাস পর ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তারা কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা নগরের চকবাজার থানার খালপাড় আবাসিক এলাকার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। কিছুদিন পর ভিকটিম জানতে পারেন তার স্বামী মাদকাসক্ত ও বেকার যুবক।

এর মধ্যে আরাফাত বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে স্ত্রীকে নানাভাবে চাপ ও শারীরিক নির্যাতন চালান। এছাড়া বিভিন্ন সময় তাদের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিও গোপনে ধারণ করেন। এভাবে নিয়মিত নির্যাতন চলতে থাকায় ভিকটিম মায়ের অসুস্থতার কথা বলে বাড়ি চলে যান। এরপর পারিবারিক সিদ্ধান্তে স্বামী আরাফাতকে ডিভোর্স দেন।

এদিকে ক্ষিপ্ত আরাফাত একটি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে তাতে ভিকটিমের বিভিন্ন ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করেন। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ভিকটিম শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে। এরপর ভিকটিম র‌্যাবকে অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার বলেন, ভিকটিমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে লালখানবাজার এলাকা থেকে আরাফাত হোসেনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফেসবুকে ছবি ও ভিডিও শেয়ার করার কথা তিনি স্বীকার করেছেন। তার মোবাইল ফোন তল্লাশি করে ভিকটিমের বেশকিছু ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি পাওয়া গেছে। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

জেএন/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!