চট্টগ্রাম বিমানবন্দর রানওয়ের ১০ ফুট উঁচু বাতিগুলো আগাছার দখলে

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। দেশি-বিদেশি অনেক ফ্লাইট প্রতিদিন এ বিমানবন্দর দিয়ে যাওয়া-আসা করে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ বিমানবন্দরের রানওয়ে ছেয়ে গেছে আগাছায়। এমনকি সাংকেতিক লাইট ও রানওয়ের আশপাশের লাইটগুলোও আগাছায় ছেয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরেই বিরাজ করছে এ অবস্থা।

এদিকে আগাছার কারণে বিমানবন্দরের ভেতর দেখা দিয়েছে আলো স্বল্পতা। এতে বিমান উঠা-নামায় বেগ পেতে হচ্ছে পাইলটদের। এ অবস্থা চলতে থাকলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার শঙ্কাও করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। শিগগির আগাছা পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সরেজমিনে শাহ আমানত বিমানবন্দরে গিয়ে দেখা গেছে, রানওয়ের আশপাশ এলাকা যেন এক একটি বিশাল জঙ্গল। প্রতিটি এলাকায় আগাছার স্তূপ। বিমান নামার রানওয়ে পর্যন্ত ছেয়ে গেছে আগাছা। এতে সংকীর্ণ হয়ে গেছে রানওয়ের পরিধি। এছাড়া বিমান নামার সময় সংকেত দেওয়া লাইটগুলো এবং রানওয়ের আশপাশের লাইট ছেয়ে গেছে আগাছায়। ১০ থেকে ১২ ফুট ওপরে গিয়ে অনেকগুলো লাইট গিলে খেয়েছে আগাছার স্তূপ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি জানান, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এসব দেখার সময় নেই। কোনোমতে বিমান উঠা-নামা করতে পারলেই হলো। এখন বিমানবন্দরে যেভাবে আগাছায় ছেয়ে গেছে, যেকোনো দিন বিমান উঠা-নামা বন্ধ অথবা কোনো বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

শহিদুল আলম নামে স্থানীয় একজন জানান, দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের এই অবস্থা। এখানে কতদিন আগাছা পরিস্কার করা হয়নি তা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষেরও জানা নেই। বিমান বাহিনীদের সংরক্ষিত এলাকাগুলোতে ঢুকলে মন জুড়িয়ে যায়। বিমানবন্দরও সংরক্ষিত এলাকা। এটির এ দশা কেন?

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শাহআমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে আন্তর্জাতিক অনেক ফ্লাইট আসা-যাওয়া করে। বিভিন্ন দেশের অনেক ভ্রমনপিপাসুরা এ বিমানবন্দর হয়ে দেশে আসেন। বিমানবন্দরের এমন বেহাল দশা তাদের দৃষ্টিগোচর হওয়ার মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া সাংকেতিক লাইট ও রানওয়ের আশপাশের লাইটের সামান্য ত্রুটির কারণে বড় ধরনের বিমান দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এতে দেশের সুনাম যেমন ক্ষুন্ন হবে তেমনি ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। তাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ম্যানেজার গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসনিম আহমেদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, লাইটসহ রানওয়ের আশপাশে আগাছার বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এসব আগাছা পরিষ্কারে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!