চট্টগ্রামে নাছিরের ইশারায় চলে সার্জেন্ট শাখাওয়াতের গাড়ি আটক ‘বাণিজ্য’

নগরের ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগে কর্মরত সার্জেন্ট শাখাওয়াত। ডিউটির সময় তাঁর সঙ্গে থাকেন নাছির নামে এক শ্রমিক নেতা। অভিযোগ রয়েছে, নাছির ইশারা দিলেই গাড়ি আটক করেন সার্জেন্ট শাখাওয়াত। এরপর ভয় দেখিয়ে চলে টাকা আদায়।

এদিকে শাখাওয়াতের সঙ্গে ‘মধুর’ সম্পর্ক থাকা নাছিরের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তার অভিযোগ। চাঁদাবাজি করতে গিয়ে একাধিকার তিনি আটক হয়েছেন পুলিশের হাতে। খেটেছেন জেলও।

সূত্র বলছে, মাসখানেক আগে বদলি হয়েছিলেন সার্জেন্ট শাখাওয়াত। কিন্তু অদৃশ্য খুঁটির জোরে এখনও আগের কর্মস্থলেই দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

এদিকে বেশ কয়েক মাস ধরে ১৩৪৯ নামের একটি শ্রমিক সংগঠনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ মালিক ও পরিবহন শ্রমিকরা। ১৩ নম্বর রুটে চলাচল করা মেক্সিমা গাড়ি থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছেন ওই সংগঠনের শ্রমিক নেতা নাছির।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে সার্জেন্টের হাতে সার্জেন্ট লাঞ্ছিত, নেপথ্যে অবৈধ ‘গাড়ি বাণিজ্য’

চাঁদাবাজি করতে গিয়ে নাছির একাধিকার আটকও হয়েছেন পুলিশের হাতে। খেটেছেন জেলও। এরপরও তাঁর সঙ্গে দারুণ সখ্যতা রয়েছে ট্রাফিক সার্জেন্ট শাখাওয়াতের। তাই ডিউটির সময় শাখাওয়াতের সঙ্গে থাকেন নাছির।

সম্প্রতি এক সন্ধ্যায় হালিশহরের বড়পোল মোড়ে গাড়ি আটক করেন সার্জেন্ট শাখাওয়াত। এসময় তাঁর পাশেই ছিলেন চাঁদাবাজির মামলায় জেল থেকে বের হওয়া নাছির।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই রুটের ভুক্তভোগী কয়েকজন গাড়ি চালক জানান, নাছিরের মতো একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজের সঙ্গে কেন ট্রাফিক সার্জেন্টের মধুর সম্পর্ক? তাকে সঙ্গে নিয়ে কেন গাড়ি আটক করেন সার্জেন্ট শাখাওয়াত। আবার মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে আদায় করেন টাকা। মূলত চাঁদাবাজ নাছিরের ইশারায় কাজ করেন সার্জেন্ট শাখাওয়াত।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সার্জেট শাখাওয়াত। তিনি আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আমি কাকে নিয়ে ডিউটি করব, না করব এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। আপনার (প্রতিবেদকের) কেন ওইদিকে চোখ গেল?

অপরদিকে নাছিরের সোজা কথা— সার্জেন্ট শাখাওয়াত স্যারের সঙ্গে থাকলে সমস্যা কোথায়?

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার তারেক আহম্মেদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সাংবাদিকের সঙ্গে পুলিশ সদস্যের দুর্ব্যবহার কখনও কাম্য নয়। চাঁদাবাজদের সঙ্গে পুলিশের কোনো সম্পর্ক নেই, থাকতে পারে না। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দেন তিনি।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!