চট্টগ্রামে করোনা : ৪ ল্যাবে সর্বনাশ

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু ৭ ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ ল্যাবের কারণে হয়েছে সর্বনাশ। শনাক্তের হার ঠেকেছে ২৯.০৫-তে।

অথচ ওই ৪ ল্যাবে শনাক্তের হার ৩৭ থেকে ৫৫ শতাংশেরও উপরে! এর মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৭.৮৩ শতাংশ, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৩৯.২৯ শতাংশ, বিআইটিআইডিতে ৪১.২২ শতাংশ এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৫.৩৮ শতাংশ করোনা রোগী পাওয়া গেছে।

মৃত্যুহীন এ দিনে ২ হাজার ৪২৩ নমুনায় ৭০৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। যাদের ৫৩১ জন নগর এবং ১৮৩ জন উপজেলার বাসিন্দা।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে ‘সুনামি’ গতির করোনায় রেকর্ড

আগের দিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১৭ জন। শনাক্তের হার ছিল ৩৩.০১ শতাংশ।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পাঠানো প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ৭ ল্যাবের মধ্যে শেভরনে ৮৫২ নমুনায় ১৬৩ জন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪২৩ নমুনায় ১৬০ জন, বিআইটিআইডিতে ৪১৫ নমুনায় ১৭১ জন, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ২৮৭ নমুনায় ৫৩ জন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৬৯ নমুনায় ৫৮ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২১ নমুনায় ৬৭ জন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৫৬ নমুনায় ২২ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে।

এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, আরটিআরএল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, ল্যাবএইড, ইপিক হেলথ কেয়ার এবং শাহ আমানত বিমানবন্দরে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। হয়নি কোনো এন্টিজেন টেস্ট।

উপজেলার মধ্যে হাটহাজারী ৩৪ জন, ফটিকছড়ি ২৮ জন, আনোয়ারা ২৭ জন, রাউজান ২৩ জন, রাঙ্গুনিয়া ১৬ জন, মিরসরাই ১০ জন, চন্দনাইশ ৮ জন, বোয়ালখালী ৭ জন, পটিয়া ৬ জন, সাতকানিয়া ৬ জন, লোহাগাড়া ৩ জন, সন্দ্বীপ ২ জন এবং সীতাকুণ্ডে ১ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

আরও পড়ুন : ‘সুখবর’—ব্রিটেনে উঠে যাচ্ছে মাস্কের বিধিনিষেধ, ১১ মার্চ থেকে করোনামুক্ত হবে ভারত!

তবে এদিন কর্ণফুলী উপজেলায় কোনো করোনা রোগী পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রামে মোট শনাক্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৯৭। যাদের ৮০ হাজার ৩৬২ জন নগর এবং ২৯ হাজার ৭৩৫ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

মৃত্যু ১ হাজার ৩৪৩ জন। এরমধ্যে নগরের ৭২৮ এবং উপজেলার ৬১৫ জন।

ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!