‘সুখবর’—ব্রিটেনে উঠে যাচ্ছে মাস্কের বিধিনিষেধ, ১১ মার্চ থেকে করোনামুক্ত হবে ভারত!

আগামী ২৭ জানুয়ারি থেকে দেশের জনসাধারণের জন্য মাস্ক পড়ার বাধ্যতামূলক আদেশ তুলে নিচ্ছে ব্রিটেন। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সরকারি এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

বরিস জনসন বলেন, করোনা ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৬ জানুয়ারি। দেশে করোনা তলানিতে এসে ঠেকেছে। এ পরিস্থিতিতে এর মেয়াদ আর বাড়ানোর কোনো কারণ নেই। আগামী সপ্তাহ থেকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসতে পারবেন ব্রিটেনের জনগণ।

কিন্তু বড় কোনো জমায়েত, বদ্ধ জায়গায় অনেকক্ষণ থাকার ব্যাপার কিংবা বহু অচেনা মানুষের সংস্পর্শে এলে মাস্ক পরে থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে ‘মন্তব্য’ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনা : ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফে মৃত্যুর আঘাত

এদিকে কেউ যদি করোনা পজিটিভ হন তাহলে বিচ্ছিন্নবাসে থাকার সরকারি নীতির মেয়াদ ২৪ মার্চ পর্যন্ত। বর্তমানে ব্রিটেনে করোনা পজিটিভ হলে পাঁচদিন বাধ্যতামূলক আলাদা থাকতে হয়। পঞ্চম ও ষষ্ঠদিন র‌্যাপিড টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট প্রয়োজন হয়। ভবিষ্যতে সেই নিয়মেও পরিবর্তন আনবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী জনসন।

আগে বড় কোনো জমায়েতে ঢুকতে প্রয়োজন হতো জোড়া টিকা দেওয়ার সার্টিফিকেট। ২৭ জানুয়ারি থেকে তারও প্রয়োজন পড়বে না। দেশে ওমিক্রন সংক্রমণ ক্রমশ তলানিতে ঠেকার কারণেই এই সিদ্ধান্ত।

১১ মার্চ ভারতের করোনামুক্ত হওয়ার দিন আগামী ১১ মার্চ হাফ ছেড়ে বাঁচতে চলেছে ভারতবাসী। ওই দিনটিতেই দেশটি করোনামুক্ত হবে!

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) এমনটিই জানিয়েছে দেশটির শীর্ষ চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা-আইসিএমআর। লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের সঙ্গে চালানো একটি যৌথ সমীক্ষা থেকে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

আইসিএমআরের মহামারীবিদ্যার প্রধান ডা. সমীরণ পাণ্ডা বলেন, গত ১১ ডিসেম্বর দেশে ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে প্রথম আক্রান্ত ধরা পড়ে। ওইদিন থেকেই কোভিড সংক্রমণের এই ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। এই নিয়ে ইমপেরিয়াল কলেজের সঙ্গে যৌথ সমীক্ষায় একটি ক্রমিক মডেল অনুসরণ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়েছে, ওমিক্রনের স্থায়িত্ব মোটামুটি তিন মাস। সেদিক থেকে ধরলে আগামী ১১ মার্চ বা মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই মহামারী শেষ হতে চলেছে।

আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ বাড়লে বন্ধ হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ভার্চুয়াল ক্লাসের প্রস্তুতির নির্দেশ

এর সপক্ষে যুক্তি দেখিয়ে তিনি বলেন, সংক্রমণের গ্রাফ ইতোমধ্যেই নামতে শুরু করেছে। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর ‘এনডেমিক’ পর্যায়ে চলে যাবে করোনা। সীমিত এলাকায় সীমাবদ্ধ থাকবে সংক্রমণ।

আইসিএমআর বিজ্ঞানীদের মতে, ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের ক্ষেত্রে তিনটি ঘটনা বেশি দেখা যাচ্ছে। এক- প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় আক্রান্তের হার বেশি, দুই- উপসর্গযুক্ত রোগী খুব কম এবং তিন- হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা নামমাত্র।

এছাড়া কলকাতার উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় আর কিছুদিন সংক্রমণ বাড়বে বলেও জানায় সংস্থাটি।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!