পৃথিবীটা যন্ত্রণার ভেবে আত্মঘাতী পথে গেল চট্টগ্রামের ৮৯ শিক্ষার্থী

দেশে বাড়ছে আত্মহত্যা। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে এ আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। চলতি বছর সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। পরের অবস্থানে আছে চট্টগ্রাম।

২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ মাসে ৫১৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের আত্নহত্যা করেছে ১৪৯ জন এবং চট্টগ্রামে ৮৯ জন।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের ভার্চুয়াল সমীক্ষায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। ‘২০২৩ সালে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা : পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়‘ শীর্ষক এ আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্য ফারজানা আক্তার লাবনী জানান, ২০২৩ সালে দেশের ১০৫টি জাতীয়, স্থানীয় পত্রিকা এবং অনলাইন পোর্টাল থেকে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে৷

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে বাড়ছে আত্মহনন, যে কারণে ইপিজেডে সবচেয়ে বেশি ‘আত্মহত্যা’

সমীক্ষার তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে সর্বমোট ৫১৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে স্কুলশিক্ষার্থী ২২৭ জন যা ৪৪.২ শতাংশ, কলেজ শিক্ষার্থী ১৪০ জন যা ২৭.২ শতাংশ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ৯৮ জন যা ১৯.১ শতাংশ এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ৪৮ জন যা মোট শিক্ষার্থীর ৯ দশমিক ৪ শতাংশ। ৫১৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ছিল ২০৪ জন, যা ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ।

অন্যদিকে নারী শিক্ষার্থী ছিল ৩০৯ জন, যা ৬০ দশমকি ২ শতাংশ। ২০২২ সালে আত্মহননকারী শিক্ষার্থী ছিল ৫৩২ জন। ২০২৩ সালে কিছুটা কমলেও ততটা আশানুরূপ নয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. সাইদুর রহমান, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবিএম নাজমুস সাকিব, আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ।

প্রসঙ্গত, সংগঠনটির পূর্ববর্তী জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার সংখ্যা ছিল ১০১ জন এবং ২০২২ সালে দেশে আত্মহত্যাকারী স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫৩২ জন।

এআইটি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!