ব্যানারে নাম না থাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন—ধরা খেল ১৭ জন

পটিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা জিতেন কান্তি গুহকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের ঘটনায় ১৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২২ মে) চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বেগম কামরুন নাহার রুমি শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আজ (সোমবার) চার্জ গঠনের নির্ধারিত দিনে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী ২৮ জুলাই থেকে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

তিনি আরও বলেন, ১৭ আসামির মধ্যে দুজন শিশু হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শিশু আদালতে পৃথক মামলা চলবে।

আরও পড়ুন : বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, পুলিশের জালে গৃহবধূ

মামলার আসামিরা হলেন- বদর উদ্দিন মো. জসিম প্রকাশ বিএম জসিম (৫৪), মুসফিক উদ্দিন ওয়াসী (২৪), রবিউল হোসেন প্রকাশ রবি (৩৮), ইন্দ্রজিৎ চৌধুরী লিও (৪৫), মো. ইকবাল উদ্দিন প্রকাশ সাকিব (২৪), আবদুল হাকিম প্রকাশ হাকিম (২১), রিমন উদ্দিন চৌধুরী (৩২), আয়ুব আলী চৌধুরী প্রকাশ হিরু (৪০), টিটন শীল (৩৮), মো. রুবেল (৩০), মো. সোহেল (৩৮), মো. করিম মোস্তফা (৪২), মো. আসিফ প্রকাশ বুড়িনীর ছেলে (২১), আ ন ম আবদুল্লাহ প্রকাশ রানা (৩৪) ও মো. রুবেল (৩৫)। বাকি দুজন শিশু।

জানা যায়, ২০২২ সালের ২৯ এপ্রিল উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ব্রাহ্মণঘাটা গ্রামের গাউছিয়া কমিউনিটি সেন্টারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে হুইপ সামশুল হক চৌধুরী প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল। বিশেষ অতিথি হিসেবে জিতেন কান্তি গুহের নাম ছিল ব্যানারে। তবে ব্যানারে ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জসিমের নাম না থাকায় দুপুর ৩টার দিকে অনুষ্ঠান শুরুর আগে জিতেন কান্তি গুহকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন জসিম গ্রুপের লোকজন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে জিতেনের ভাই তাপস কান্তি গুহ হাইদগাঁও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বদরুদ্দিন মোহাম্মদ (বিএম) জসিমকে প্রধান আসামি করে পটিয়া থানায় মামলা করেন। এরপর একই বছরের ১৩ জুন ১৭ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পটিয়া থানার এসআই সঞ্জয় কুমার ঘোষ।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় সহযোগিতা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মো. জহির উদ্দিন, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রদীপ কুমার দত্ত, অঞ্জন বিশ্বাস, পলাশ চৌধুরী ও অতিরিক্ত পিপি মো. জাহেদ।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!