পাহাড়খেকো শের আলী—একের পর এক কাটছে বাঁশখালীর পাহাড়

বাঁশখালীর পাহাড়ের মাটি কাটায় ফের ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে সাবেক ইউপি সদস্য শের আলীকে। তবে জরিমানা করার পর কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়েন এই ইউপি সদস্য। কিন্তু পরদিন আবার সেই জরিমানার টাকা জমা দেন তিনি।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে পুইঁছড়ী ইউনিয়নের জঙ্গল নাপোড়া গ্রামের ভিলেজারপাড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এ জরিমানা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসান। এ সময় মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি স্কেভেটর জব্দ করা হয়।

এদিকে জরিমানার ২ লাখ টাকা আজ (মঙ্গলবার) বিকাল ৪টায় উপজেলা সদরে এসে পরিশোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসান।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রাতের আঁধারে পাহাড় কেটে প্লট বানাচ্ছে ‘কলা কালাম’

অভিযুক্ত শের আলী পুইঁছড়ী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আয়ুব আলীর ছেলে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত শের আলী একজন চিহ্নিত পাহাড়খেকো। তাঁকে এর আগেও একই অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু এরপরও পাহাড় কাটা বন্ধ হয়নি। এবার তাঁর কাঁধে উঠল ২ লাখ টাকার জরিমানা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অস্বীকার করে শের আলী বলেন, পাহাড়টি জনৈক সাহাব উদ্দিনের, আর মাটি দিয়ে রাস্তা ভরাট করা হচ্ছিল শামসুল আলমের। আমি শুধুমাত্র ট্রাক ও স্কেভেটর ঠিক করে দিয়েছিলাম। তবে এলাকার কিছু মানুষ শত্রুতাবশত পাহাড় কাটায় আমার নাম বলেছেন। তাই বাধ্য হয়ে জরিমানার টাকা দিলাম। একটি কুচক্রি মহল দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ের মাটি কাটছে এবং বালু তুলে বিক্রি করছে।

যোগাযোগ করা হলে বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সাবেক ইউপি সদস্য শের আলী একজন চিহ্নিত পাহাড়খেকো। তাকে আগেও পাহাড় কাটার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। এরপরও পাহাড় কাটা বন্ধ না করায় এবার ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংসকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ইউবি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!