চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে ফের রক্ত ঝরল, দুগ্রুপই উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারী

চট্টগ্রাম কলেজে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুদফা সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে জড়ানো গ্রুপ দুটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী বলে জানা গেছে।

জানা যায়, সোমবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় চকবাজার এলাকায় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কর্মীদের সঙ্গে। সেই ঝগড়ার রেশ ধরে দুদফায় সংঘর্ষে জড়ায় চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ। এতে উভয়পক্ষের ১৫-২০ জন আহত হয় বলে দাবি করেন উভয় গ্রুপের নেতারা।

এদিকে সোমবারের ঝগড়ার প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় ফের মুখোমুখি অবস্থান নেয় দুগ্রুপের কর্মীরা। প্রথম সংঘর্ষে উভয় দলের ৫ কর্মী আহত হলেও দুপুর ২টার দিকে ফের শক্তি বাড়িয়ে কলেজে আসে উভয় গ্রুপ। এরপর কলেজে মুক্তমঞ্চের সামনে আবারো সংঘর্ষে জড়ায় দুপক্ষের কর্মীরা। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ কর্মী আহত হয়।

বহিরাগতদের হামলার জন্যই কলেজে অশান্তি বিরাজ করছে বলে দাবি করেন সভাপতি মাহমুদুল করিম। তিনি বলেন, ওরা প্রতিনিয়ত বহিরাগতদের দিয়ে কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। আমরা এর প্রতিবাদ জানালে ওরা চকবাজার এলাকার টোকাইদের নিয়ে এসে কলেজে ঢুকে আবারো শিক্ষার্থীদের মারধর করে।

তিনি অভিযোগ করেন, গত তিনদিন ধরে সবুজের কর্মীরা তার কর্মীদের চকবাজার এলাকায় মারধর করছেন। আজকেও সাফ-আমিন মার্কেটের সামনে সাফায়াত করিম নামে বিএসসি প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে মেরে আহত করেছে। সবমিলিয়ে নিজের গ্রুপের অন্তত ১৮ কর্মী আহত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন মাহমুদ।

অপরদিকে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ বলেন, আমি গত দুদিন ধরে পারিবারিক কারণে কলেজে অনুপস্থিত ছিলাম এবং আমার সিনিয়র কর্মীরা পিকনিকে ছিল। সেই সুযোগে মাহমুদ নিজে উপস্থিত থেকে আমার কর্মীদের মারধর করেছে। দুদফায় নিজেদের ওপর হামলার অভিযোগ করেন সবুজ। হামলায় নিজের ৮ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে আবারও হামলার ঘটনা ঘটতে পারে এমন সম্ভাবনায় কলেজে অবস্থান করছে চকবাজার থানা পুলিশ। এ বিষয়ে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের মজুমদার বলেন, আমরা এখনো কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান করছি। বিবাদমান দুই গ্রুপের কর্মীদের সরিয়ে দিয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে সংঘর্ষে আহত হওয়ার কোনো খবর আপাতত পুলিশের কাছে নেই।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!