অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া ‘ইয়াস’ বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম থাকলেও প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখেনি কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৭৬ আশ্রয়কেন্দ্র ও ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
তবে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’র প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চতায় কয়েক ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকূলের ১০ লাখ মানুষকে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ মঙ্গলবার (২৫ মে) সকালে সাংবাদিকদের বলেন, ঘুর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় জেলায় প্রস্তুতি রাখা হয়েছে ৫৭৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র। পাশাপাশি সিপিপিসহ প্রায় ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবকও প্রস্তুত রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, বৈরী পরিবেশে সমুদ্র সৈকত ফাঁকা, উত্তাল সৈকতে ওড়ানো হচ্ছে লাল নিশানা।
জানা গেছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘ইয়াস’। তবে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এ ঘূর্ণিঝড়টির গতি পরিবর্তন হয়েছে। শুরুতে ঝড়টির উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এখন এটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় আঘাত হানতে পারে।
বলরাম/ডিসি