অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া লামার স্কুলছাত্রীর হদিস নেই, অপহরণকারীও

লামায় সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী নিখোঁজের ১৪ দিনেও উদ্ধার হয়নি। এ ঘটনায় হতাশ ভিকটিমের পরিবার।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হয় ওই স্কুলছাত্রী। পরে পরিবারের সদস্যরা নানা জায়গায় খোঁজ করেও তার হদিস পায়নি।

এদিকে এ ঘটনায় মাহদুল করিমের নাম উল্লেখসহ ৩ যুবককে অজ্ঞাত করে লামা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে ভিকটিমের পরিবার।

আরও পড়ুন: অটোরিকশা চালকই অপহরণ করেছিল রাউজানের স্কুলছাত্রীকে

মামলার আসামি মাহদুল করিম (২০) বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ডান হাতির ছড়ার শফি আলমের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি সুজন শীলের মেয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। স্কুল ছুটি হয়ে গেলেও সে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা নানা জায়গায় খোঁজ করেন। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারে বখাটে মাহদুল করিমের নেতৃত্বে একদল যুবক ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।

মামলার বাদী লাকী রানী শীল বলেন, বখাটে মাহদুল করিম আমার মেয়ে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি আমার মেয়ে আমাদের একাধিকবার জানায় । গত ৮ ফেব্রুয়ারি মাহদুল করিমের নেতৃত্বে একদল যুবক আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার মাহদুলসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে লামা থানায় মামলা করি। তবে মেয়েকে উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে কোনো অগ্রগতি নেই।

আরও পড়ুন: বাসায় ফিরেনি সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী, পরিবারের অভিযোগ অপহরণ করেছে বখাটে যুবক

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লামা থানার এসআই মোল্লা রমিজ জাহান জুম্মা বলেন, স্কুলছাত্রী অপহরণের একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার মূল আসামি মাহদুল করিমকে গ্রেপ্তার এবং অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে, লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

মুকুল/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!