শ্বশুড়বাড়ির পাহাড়ে গৃহবধূর লাশ

লামায় রোকসানা বেগম (১৬) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর পলাতক স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তবে এটি হত্যা, নাকি আত্মহত্যা এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব শিলেরতুয়া এলাকার ছামাইছড়ি পাড়ার শ্বশুরবাড়ির উত্তর পাশের পাহাড় থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন: গৃহবধূর ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু, বোনের দাবি খুন করেছে দেবর

নিহত গৃহবধূ ছামাইছড়ি এলাকার মৃত রুহুল আমিন ও আয়েশা খাতুনের ছেলে ইদ্রিস মিয়া (৪০) প্রকাশ বেচুর স্ত্রী।

প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানায়, যে রশিতে গৃহবধূ রোকসানাকে গাছে ঝুলন্ত পাওয়া গেছে সেটি ইদ্রিসের বাড়ির গরুর গলায় লাগানো রশি। লাশের পায়ের নিচে একটি লাল ওড়না পড়েছিল। ঘটনার পরপরই ইদ্রিস ও তার বাড়ির সবাই পালিয়ে গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী বলেন, তিন সন্তান রেখে নির্যাতন করে প্রথম স্ত্রীকে বের করে দেয় ইদ্রিস। তারপর ১৫ বছরের এক মেয়েকে আবার বিয়ে করে। বিয়ের পর স্ত্রীকে থাকা-খাওয়া নিয়ে কষ্ট দিত। এ ঘটনার তদন্ত প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: যৌতুকের চাপে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী পলাতক

এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক শাহীন পারভেজ বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে নিহতের লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে থানায় আনা হয়। নিহতের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাতে নিহতের লাশ থানায় আনা হয়েছে। আজ (শনিবার) ভোরে বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর পর সন্ধ্যায় নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে জানা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।

ইলিয়াছ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!