আনোয়ারায় কলেজছাত্র আবদুল্লাহ্ আল মাসুম (১৮) খুনের ঘটনায় আদালতে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে। রিপোর্টে মাসুমের মাথায় আঘাত করায় মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
ময়নাতদন্তের এ রিপোর্ট পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন নিহত মাসুমের বাবা মো. ইউসুফ।
রিপোর্টে মাসুমের ঘাড় এবং পায়ের হাঁটুর উপরেও আঘাতের কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে আনোয়ারা থানা পুলিশ ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
আরও পড়ুন: কলেজ ছাত্রের মৃত্যু—মামলা নিতে পুলিশের অনীহা, থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, মাসুমের মৃত্যুর একাধিক কারণ রয়েছে। এরমধ্যে মাথায় আঘাত করার ফলে তার রক্তক্ষরণ হয়েছে। এছাড়া মাসুমের ঘাড়ের বাম পাশে, হাঁটুর উপরেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রিপোর্টে মাসুমের বিদ্যুৎস্পৃষ্টের কথাও উল্লেখ রয়েছে।
এদিকে শুরু থেকেই মাসুমের পরিবার দাবি জানিয়ে আসছিল তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। এ খুনের প্রতিবাদে স্থানীয় লোকজন মিছিল-সমাবেশের পাশাপাশি থানাও অবরোধ করে।
তবে ঘটনার পর আনোয়ারা থানা পুলিশ বলে আসছিল, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাসুমের মৃত্যু হয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে আনোয়ারা থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক নওফেল আলম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থানায় এসছে। তবে এখনো আমার হাতে পৌঁছাইনি। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে মাসুমের বাবা ইউসুফ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আমার ছেলে মাসুমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। যার প্রমাণ ময়নাতদন্তে উল্লেখ আছে। ঘটনার পর এলাকাবাসী দুদিন ধরে আমার ছেলের খুনের প্রতিবাদে মিছিল-সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানান।
তিনি আরো বলেন, থানা পুলিশ মামলা না নেওয়ায় আমি বাধ্য হয়ে আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। আমি আদালতের কাছে আমার ছেলে মাসুম হত্যার বিচার চাই।
আরও পড়ুন: ‘কিশোর গ্যাং’—রাতে বন্ধুকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে খুন, মধ্যরাতে ঝোপে মিলল লাশ
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর রাতে আনোয়ারা পরৈকোড়া কৈইখাইন গ্রামের আবদুল্লাহ আল মাসুমকে (১৮) ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায় পূর্ব সিংহরা গ্রামের দীপ্ত দত্ত। এর দুঘণ্টা পর পুলিশ মাসুমের লাশ উদ্ধার করে। তখন পুলিশ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাসুম মারা গেছে জানিয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা নেয়। তবে মাসুমের পরিবার ৯ জনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করে।
ইমরান