বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী গৃহবধূ মাহমুদা খানম আঁখি (২১) খুনের ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় মামলা করা হয়েছে।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে ভিকটিম আঁখির বড় ভাই মো. মিজানুর রহমান (২৪) মামলাটি করেন।
মামলায় আঁখির স্বামী আনিসুল ইসলাম (৩২) এবং তাঁর মা ফরিদা বেগম (৫০) ও বোন হামিদা বেগমকে (৩৪) আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এক ভাই খুন, অন্য ভাই রক্তাক্ত—অপরাধ মসজিদ-মাদ্রাসার ব্যয়ের হিসাব চাওয়া
এদিকে রোববার রাতে অভিযোগ পেয়ে আঁখির স্বামী আনিসুল ইসলামকে আটক করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।
আনিসুল বাঁশখালীর উত্তর জলদী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। পরিবার নিয়ে তিনি নগরের চান্দগাঁও থানাধীন পাঠানিয়া গোদা শওকত আবাসিক এলাকার মাসুদা খাতুন ভবনের তৃতীয় তলায় থাকতেন।
মামলার এজাহারের অভিযোগ করা হয়, গত ১৩ ডিসেম্বর রাত দশটার দিকে আসামিরা যৌতুকের জন্য আঁখিকে মারধর করলে তার খাদ্যনালী ছিঁড়ে যায়। সেদিন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এর ৬ দিন পর রোববার সন্ধ্যায় আঁখি মারা যান।
আঁখির বাঁশখালীর উত্তর জলদী গ্রামের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মফিজুর রহমানের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, মারা যাওয়া মাহমুদা খানম ওরফে আঁখি নগরের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবির শিক্ষার্থী ছিল। তার স্বামী আনিসুল পেশায় একজন আইনজীবী। বর্তমানে তার মা-বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা থাকেন নগরের বাকলিয়া থানাধীন সৈয়দ শাহ রোডের ল্যান্ডমার্ক হাউজিং সোসাইটির রেজিয়া টাওয়ারের তৃতীয় তলায়।
আরও পড়ুন: ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হাটহাজারীতে, খুনের ছক বিদেশে বসেই
যোগাযোগ করা হলে চান্দগাঁও থানার ওসি মইনুর রহমান বলেন, মাহমুদার ভাই নিজামের করা মামলায় আসামি আনিসুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। নির্যাতনের কারণে আঁখির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ওসি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মাহমুদার লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে।
পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, স্ত্রী নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে স্বামী আনিসুলকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল চাদগাঁও থানা এলাকা হওয়ায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে সেখানে মামলা করার পর ওই মামলায় আনিসুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আরবি