সারা শরীরে চাইনিজ কুড়াল আর রামদা’র পাঁচ কোপের আঘাত। এর মধ্যে মাথায় ২টি এবং হাত, পা ও বুকে ১টি করে কোপ দেওয়া হয়েছে। এলোপাতাড়ি কোপে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর ডান হাতের ৩টি আঙ্গুলও।
নৃশংস এ হামলা চালানো হয়েছে মিরসরাইয়ের জোরারগন্জ থানার আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. নুরুল্লাহর (৫৫) ওপর। অজ্ঞান নুরুল্লাহকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে খোচনা গাছতল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: শোক দিবসে শ্রমিকলীগ নেতাকে ‘পিটিয়ে রক্তাক্ত’ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান
জানা গেছে, জোরাগন্জ থানার ৭ নং কাটাচড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড হাজী শফিউল্লা ডিলারের বাড়ির বাসিন্দা নুরুল্লাহ। তিনি উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আতাউর রহমানের অনুসারী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। এ কারণে প্রতিপক্ষ গ্রুপের সঙ্গে তার দন্দ্ব রয়েছে। এছাড়া একটি দিঘী নিয়ে সিএন্ডএফ মালামাল চোরাকারবারি মামলায় আটক সাইফুলের সঙ্গে রয়েছে একাধিক মামলা।
সোমবার রাত ১০টার দিকে নুরুল্লাহ ছত্তর ভূইয়ার বাজার থেকে কাজ সেরে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। খোচনা গাছতল এলাকার নির্জন জায়গায় পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা রাস্তার উপর একটি অটোরিকশা দিয়ে তার পথ গতিরোধ করেন। এসময় অটোরিকশায় থাকা ৫-৬ জন নুরুল্লাহ উপর চাইনিজ কুড়াল ও রামদা দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। তারা নুরুল্লাহকে কুপিয়ে পাশের একটি জমিতে ফেলে দেন।
এদিকে নুরুল্লাহর আর্তচিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা তাকে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যান৷ পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: ‘চাঁদাবাজি মামলার সাক্ষী’ কুপিয়ে—পিটিয়ে রক্তাক্ত করল ব্যবসায়ীকে
আহতের ছেলে কলেজপড়ুয়া নাইমুর রহমান শুভ বলেন, আমার আব্বুর মাথায় ২টি, হাতে পায়ে ও বুকে ১ করে মোট ৫টি কুপের আঘাত রয়েছে। তার ডান হাতের ৩টি আঙ্গুল ভেঙে গেছে। সকালে আব্বুর জ্ঞান ফিরে আসলেও কথা বলতে পারছেন না।
শুভ অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কিংবা সিএন্ডএফ মালামাল চুরির মামলায় জেল থেকে সদ্য ছাড়া পাওয়া সাইফুলের এ হামলায় যোগসাজশ থাকতে পারে। আমার বাবাকে খুনের উদ্দেশ্যেই হামলা করা হয়েছিল। আমরা এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেব।
সিএম