চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। এবার নগরের চারটি ল্যাবে ৫৩ শতাংশের বেশি নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
ল্যাবগুলো হলো— চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল ল্যাব, মেডিকেল সেন্টার এবং এপিক হেলথ কেয়ার।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ২ হাজার ৪৩৮ নমুনা পরীক্ষায় ৭৬৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৬৮ জন নগরের এবং ১৯৭ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
একইসময়ে মারা গেছেন ৬ জন করোনা রোগী। এরমধ্যে ৪ জন নগরের এবং ২ জন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রামে এ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮৪১ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের মোট ৭১ হাজার ৬৬৭ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুলাই) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের বিআইটিআইডি ল্যাবে ৪৪০ নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ৭৭ জনের।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষা করা হয় ২৫১ নমুনা। এতে করোনা শনাক্ত হয় ৭৯ জনের।
এছাড়া এন্টিজেন টেস্টে ৮৬৪ নমুনা পরীক্ষায় ২৬৯ জন, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৩৭২ নমুনা পরীক্ষায় ১১৭ জন, শেভরনে ২৫১ নমুনা পরীক্ষায় ৭৫ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৪৪ নমুনা পরীক্ষায় ২৯ জন, জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল ল্যাবে ৩১ নমুনা পরীক্ষায় ১৮ জন, মেডিকেল সেন্টারে ৬০ নমুনা পরীক্ষায় ৩২ জন এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ১২২ নমুনা পরীক্ষায় ৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের তিনটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে কারও করোনা মেলেনি।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তদের মধ্যে লোহাগাড়ার ১৫ জন, সাতকানিয়ার ১৩ জন, বাঁশখালীর ১৩ জন, আনোয়ারার ৫ জন, চন্দনাইশের ১১ জন, পটিয়ার ২৮ জন, বোয়ালখালীর ৩০ জন, রাঙ্গুনিয়ার ৩ জন, রাউজানের ৮ জন, ফটিকছড়ির ৬ জন, হাটহাজারীর ৬ জন, সীতাকুণ্ডের ১৯ জন, মিরসরাইয়ের ২৪ জন এবং সন্দ্বীপের বাসিন্দা রয়েছেন ১৬ জন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
জেডএইচ
