নগর আওয়ামী লীগ—৮ বছরের ‘জট’ খুলতে সময় ৬ মাস, মানতে হবে ‘শর্ত’

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে দলটির কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড। তবে শুধু নগর কমিটিই নয়; এই সময়সীমার মধ্যে সব ইউনিট, ওয়ার্ড এবং থানা কমিটিও করতে বলা হয়েছে নগর আওয়ামী লীগকে।

এদিকে কমিটি করার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ শর্ত বেঁধে দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রধান শর্ত হলো বিদ্রোহী প্রার্থীদের কমিটিতে রাখা যাবে না। এছাড়া অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বিতর্কিত কোনো ব্যক্তিকে সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত না করার নির্দেশনাও দিয়েছে কেন্দ্র।

সর্বশেষ এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে সভাপতি এবং আ জ ম নাছির উদ্দীনকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১৩ সালের নভেম্বরে নগর আওয়ামী লীগের ‘তিন বছর মেয়াদি’ কমিটি গঠিত হয়েছিল। ২০১৭ সালে মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা যাওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জহুর আহমদ চৌধুরীর ছেলে, নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আট বছর পর ফের সামনে চলে এসেছে নগর আওয়ামী লীগের কমিটি প্রসঙ্গ। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নগর নেতাদের দু’দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শেষ দিনে সোমবার (২১ জুন) সম্মেলন নিয়ে কথা বলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

হানিফ বলেন, চলতি বছরের মধ্যেই চট্টগ্রাম নগরের আওতাধীন সব ইউনিট, ওয়ার্ড এবং থানা কমিটির সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে।

তিনি বলেন, জুলাই থেকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রক্রিয়া শুরু হবে। জুলাইয়ে সংগঠনের সদস্য সংগ্রহ চলবে। আগস্ট শোকের মাস। এই মাসে নগরের সব ওয়ার্ড, থানা পর্যায় থেকে মহানগর কমিটি সবাই শোকের মাসের কর্মসূচি পালন করবে। সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরে ইউনিট এবং ওয়ার্ড কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। পরের মাস নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে থানা কমিটির সম্মেলন। তারপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে মহানগর কমিটির সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের কমিটিতে রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিগত নির্বাচনে যেসব প্রার্থী দল সমর্থিত প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তাদেরকে কোনো কমিটিতেই রাখা যাবে না।

সদস্য সংগ্রহ অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধী, অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বিতর্কিত কোনো ব্যক্তিকেও সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিশাল সংগঠন। তৃণমূল কর্মীদের ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে দলের এই অর্জন। কাজেই দলের ঐতিহ্যকে বিবেচনায় রেখে সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালাতে হবে।

চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ মাহমুদ আল স্বপন, শফিউল আলম নাদের, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এবং অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান।

জেডএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!