প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাবে চট্টগ্রামের ১২ উপজেলার ৫৮৭ ভূমি—গৃহহীন

একজন লোকও গৃহহীন থাকবে না— মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর উপহার দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

বুধবার (২০ জুলাই) সকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি সারাদেশে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর বরাদ্দ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। চট্টগ্রাম জেলায় প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৪৪৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর দেওয়া হয়। একই বছরের ২০ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ে সারাদেশে ৫৩ হাজার ৩৩০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ সরকারি অর্থায়নে ঘর দেওয়া হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে চট্টগ্রাম জেলায় ৬৪৯টি পরিবারকে জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: মুজিবের দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সহযোগিতায় চট্টগ্রামে জেলায় ১২০টি ঘর নির্মাণ শেষ হয়েছে। দেশের বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে অর্থ অনুদান দিচ্ছেন। এছাড়া তৃতীয় পর্যায়ে চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল সারাদেশে ৩২ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর বরাদ্দ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এতে চট্টগ্রাম জেলায় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ১ হাজার ২১৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে আগামী ২১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে তৃতীয় পর্যায়ের (দ্বিতীয় ধাপ) ২৬ হাজার ২২৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর বরাদ্দ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। এতে চট্টগ্রাম জেলায় তৃতীয় পর্যায়ে (২য় ধাপ) ৫৮৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর দেওয়া হবে। এতে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় ১০টি, বোয়ালখালীতে ১৫টি, চন্দনাইশে ১৫টি, সাতকানিয়ায় ২০টি, লোহাগাড়ায় ৫১টি, বাঁশখালীতে ১৫টি, হাটহাজারীতে ৬০টি, ফটিকছড়িতে ১০০টি, আনোয়ারায় ১০০টি, মিরসরাইয়ে ১০৯টি, রাউজানে ৫৪টি এবং সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৩৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেওয়া হবে হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলাকে যাচাই-বাছাইকৃত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে ২১ জুলাই থেকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে।

১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে নোয়াখালী সফরে গিয়ে আশ্রয়হীনদের পুনর্বাসনের প্রথম উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতার কন্যা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথম সরকার গঠনের পর ১৯৯৭ সালে আশ্রয়হীনদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারি অর্থায়নে প্রথম উদ্যোগ হিসেবে গ্রহণ করেন এই ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’— যোগ করেন জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর।

সিএম/এসআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!