শুষ্ক মৌসুমে অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো ও বর্ষায় দড়ি টানা নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয় ফটিকছড়ির পাঁচপুকুরিয়া ও পূর্ব-সুয়াবিল গ্রামের হাজারো বাসিন্দাকে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, নারী ও শিশুদের। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগী ও স্বজনদের। তারপরও ছোট-বড় দুর্ঘটনা তো রয়েছেই।
তবে দীর্ঘদিনের সেই দুর্ভোগ থেকে অবশেষে মুক্তি মিলছে। স্থানীয়দের দাবির মুখে শুরু হচ্ছে সেতুর নির্মাণকাজ। সম্প্রতি পাঁচপুকুরিয়া-সিদ্ধাশ্রম সড়কের হালদা নদীর ওপর সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আবু তৈয়ব।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে পাঁচপুকুরিয়া-সিদ্ধাশ্রম সড়কের হালদা নদীর ওপর ২৪০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মিত হচ্ছে। ২৪ ফুট প্রশস্ত এ সেতু নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে দুপারের মানুষের যোগাযোগে দূরত্ব কমবে ২৫ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন : ৪ সেতু পাল্টে দিয়েছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাতায়াত
কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী নিজাম উদ্দিন বলেন, আমার মতো এলাকার অনেক শিক্ষার্থী প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সেতু পার হয়ে স্কুল-কলেজে আসা-যাওয়া করে। বর্ষাকালে নদী পার হতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়। এখানে নতুন সেতু নির্মাণ হলে সেই দুর্ভোগ কমবে। যাতায়াত সহজ হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, হালদার পারে উৎপাদিত হয় শীতকালীন সবজিসহ নানান কৃষিপণ্য। সেতুর অভাবে উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতে সমস্যা হতো। সেতুটি নির্মাণ হলে কৃষকরা বেশি উপকৃত হবে।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী তন্ময় নাথ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করবে এলজিইডি। এ সেতুর মাধ্যমে সুয়াবিল ও পৌরসভার একাংশের সঙ্গে ফটিকছড়ির লিংক রোড হবে। এতে কৃষিপণ্য সহজে বাজারজাত করা যাবে এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত হবে।
আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম