২ ছেলেসহ বাবার মৃত্যু হলো সেফটিক ট্যাংকে ঢুকে

চকরিয়ায় বাড়ির সেফটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে যান দুভাই শাহাদাত হোসেন (১৯) ও শহিদুল ইসলাম (৪৮)। প্রথমে সেফটিক ট্যাংকের ভেতর ঢুকেন বড় ভাই শাহাদাত হোসেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম তাকে উদ্ধার করতে নামলে তিনিও অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

দীর্ঘক্ষণ ধরে দুজনের সাড়াশব্দ না পেয়ে বাবা আনোয়ার হোসেন (৭০) ঘর থেকে বের হয়ে সেফটিক ট্যাংকে দেখতে যান। এসময় তিনিও সেফটিক ট্যাংকে নেমে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে পরিবার লোকজন বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানালে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয়। চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুভাইকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা বাবাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তিনিও মারা যান।

আরও পড়ুন: নৌকা উল্টে নিখোঁজ উরকিরচরের সেই ব্যবসায়ীর লাশ মিলল ছায়ারচরে

বুধবার (৯ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে উপজেলার ভেওলা মানিকচর (বিএমচর) ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বহাদ্দরকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে বিএমচর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. ইউনুছ বলেন, বাবা আনোয়ার হোসেনসহ তার দুই ছেলে বাড়ির সেফটি ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তারা মারা যান। একই পরিবারের বাবা ও দুই সহোদরের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

যোগাযোগ করা হলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক। পরিবারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এমকেডি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!