৩০ বছরেও বিচার হয়নি ২ খুনের, ২০ বছরেও জামিন মেলেনি শিবির ক্যাডার নাছিরের

৩২ বছর আগে ফটিকছড়ি পাহাড়ে শিবির ও ছাত্রলীগ দুগ্রুপের সশস্ত্র হামলায় দুজন নিহতের ঘটনায় মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি মো. নাছির প্রকাশ শিবির নাছিরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মু. শরিফুর রহমান এ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পিপি অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, শিবির ক্যাডার নাছিরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে দীর্ঘ ৩২ বছরের এ মামলার অন্য আসামিরা জামিনে আছেন।

পিপি আরও বলেন, রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা পিপি জ্ঞানতোষ চৌধুরী ও মইনুল আলম টিপু। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজুর আহমেদ আনসারী।

আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ কর্মীকে খুন করে যাবজ্জীবন জেলে থাকতে হবে ৬ জনকে

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালের ১৫ জুন ভোর ৪টায় ফটিকছড়ির হারুলছড়ি গোলটিলা এলাকায় ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগের দুগ্রুপের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মী তহিদুল আলম ও সঞ্জিত কুমার দে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় তহিদুল আলমের চাচাতো ভাই মো. জাফর বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় মামলা করেন।

পরে ১৯৯২ সালের ২ জুন মো. নাছির প্রকাশ শিবির নাছিরসহ ২৬ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। একই বছরের ১৩ জুলাই নাছিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ১৯৯৩ সালের ২৪ এপ্রিল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মাধ্যমে জামিন পান নাছির। তবে অন্য মামলায় কারাগারে বন্দী থাকায় এ মামলার শুনানির সময় উপস্থিত থাকতে পারেনি নাছির। এ কারণে ২০০৪ সালের ২৮ নভেম্বর নাছিরের জামিন বাতিল করেন আদালত।

সেই থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ বছর কারাগারে থাকার পরেও জামিন পাননি নাছির। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৫ মে অভিযোগ গঠন করা হয়ে। ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ২০১৮ সালের ১২ জুলাই পর্যন্ত মামলার বাদী, প্রত্যক্ষদর্শী, তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১১ জন সাক্ষ্য দেন। কিন্তু পাঁচ বছর হতে চললেও আর কোনো সাক্ষীকে হাজির করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। তবে সাক্ষীদের মধ্যে কেউ নাছিরের নাম উল্লেখ করেননি।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!