১২ সাক্ষ্যে ১২ বছর পর খুনি স্বামীর যাবজ্জীবন দণ্ড

এক যুগ আগে মিরসরাইয়ের মঘাদিয়া দাসপাড়া এলাকায় স্ত্রী সুজাতাবালাকে খুন করে নিরুদ্দেশ হন স্বামী প্রিয় লাল দাস। সেই ঘটনায় নিহতের বাবা নিতাই চন্দ্র দাসের দায়ের করা মামলায় পলাতক প্রিয় লাল দাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) চট্টগ্রাম পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মু. শরিফুর রহমান এ রায় দেন।

জেলা পিপি অ্যাড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি প্রিয় লাল দাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার শুরু থেকেই আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৮ ডিসেম্বর পারিবারিক কলহের জেরে সুজাতাবালাকে গলা টিপে খুন করে স্বামী প্রিয় লাল দাস। পরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার করেছে বলে প্রচার করে। আত্মহত্যার ঘটনায় স্থানীয় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়।

পরে ২০১১ সালের ১১ এপ্রিল নিহতের বাবা নিতাই চন্দ্র দাস বাদী হয়ে মৃত মনোরঞ্জন দাসের ছেলে প্রিয় লাল দাসসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৭ জুন প্রিয় লাল দাসকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শফিকুল ইসলাম ও এসআই মো. মুছা। এ মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় সহযোগিতা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. রাসেল সরকার ও অ্যাড. মঈনুল আলম চৌধুরী।

আরএস/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!