বঙ্গোপসাগরে হঠাৎ ঝড়—ডুবল ২০ ট্রলার, নিখোঁজ অর্ধশতাধিক

বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে লবণবাহী অন্তত ২০টি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ ৪টি ট্রলার ও ৩০ জন মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে অর্ধশতাধিক। তবে বাকিদের উদ্ধার অভিযান চলছে।

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে আসা লবণবোঝাই ট্রলারগুলো ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।

উদ্ধার হওয়ারা হলেন— বাঁশখালী উপজেলার আল্লাহর দান ট্র্রলারের মো. জিয়া মাঝি, মো. আলী, মো. মানিক, মো. সোহেল, মো. মনচুর ও জাবেদ আহমদ, কুতুবদিয়া উপজেলার তৌফিক এলাহী, ট্রলারের মাঝি মো. মানিক, নুরুল আমিন, মো. আনিস, বার আউলিয়া ট্রলারের মাঝি মো. ফারুক, বদি আলম, আবু হানিফ ও আবু তৈয়ব। তবে বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন : বঙ্গোপসাগরে ইঞ্জিন বিকল, সেন্টমার্টিনে উদ্ধার ১৯ জেলে

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খারাপ আবহাওয়ার কারণে আজ সকাল থেকে সাগরে বাতাস ও ঢেউ বেশি ছিল। এ সময় ঝড়ের কবলে পড়ে লবণবাহী ১৫ থেকে ২০টি ট্রলার ডুবে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে উপকূলে নিয়ে আসে।

বার আউলিয়া ট্রলারের মাঝি ফারুক বলেন, কুতুবদিয়া থেকে আসার সময় সকালে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে ট্রলার উল্টে ডুবে যায়। আমাদের সঙ্গে থাকা ১৫ থেকে ২০টি ট্রলার ডুবে গেছে। প্রতিটি ট্রলারে ৫ থেকে ৭ জন মাঝিমাল্লা ছিল।

নিখোঁজ বার আউলিয়া ট্রলারের মালিক কুতুবদিয়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, আমার মালিকানাধীন ‘এমভি বার আউলিয়া’ ট্রলারটি ৬০ টন লবণ নিয়ে কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম নগরের দিকে যাচ্ছিল। ঝড়ের একপর্যায়ে কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে আরও ১৫ থেকে ২০টি লবণবাহী ট্রলার গহিরার বার আউলিয়া উপকূলে সাগরে ডুবে যায়। তবে আমার ট্রলারের মাঝিদের উদ্ধার করা হয়েছে। আমার ডুবে যাওয়া ট্রলারের মূল্য ২০ লাখ টাকা।

গহিরা বার আউলিয়া নৌ পুলিশের ইনচার্জ টিটু দত্ত আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আনোয়ারা উপকূলে বঙ্গোপসাগরে বেশ কয়েকটি ট্রলারডুবির খবর পেয়েছি। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ অন্তত ৩০ জনকে উদ্ধার করলেও এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের সন্ধানে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।

কাঞ্চন/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!